পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সফরে আসছে না ইংলিশ ক্রিকেট দলের সমর্থকদের গোষ্ঠী বার্মি আর্মি।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ইংলিশ ক্রিকেট দল। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসার আসার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে ইংল্যান্ড।
অবশ্য পুরো ইংলিশ দল আসতে রাজি হলেও ইওন মর্গ্যান এবং অ্যালেক্স হেলস আসছেন না।নিরাপত্তার কথা বলে আসছে না বার্মি আর্মি।
বার্মি আর্মির প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পল বার্নহ্যাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আমাদের যেসব ক্রিকেট ভক্তরা সেখানে খেলা দেখতে যাবে, তাদের জন্যও হোটেল এবং মাঠে সব নিরাপত্তার ব্যবস্থাই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু বার্মি আর্মি যেখানে যায়, তারা শুধু খেলা দেখে না, তারা সেখানকার স্থানীয় মানুষজনের সাথে মেশে, ঘুরেফিরে দেখে।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী, এখন বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য নিরাপদ নয়। তাই আমরা আমাদের সমর্থকদের বাংলাদেশে না যাবার পরামর্শ দিয়েছি, উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি নিরাপদ হোটেলের নাম জানানোর পাশাপাশি মাঠেও নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা থাকার কথা জানিয়েছে বলে জানান পল বার্নহ্যাম।
তারপরেও কেন বাংলাদেশ সফরে আসছে না বার্মি আর্মি? তিনি বলেন, মাঠে এবং হোটেলের যাতায়াতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সমর্থকদের নিজেদেরই করতে হবে। ফলে একটি টেস্ট ম্যাচে নিয়মিত যাতায়াত বা ঘোরাফেরায় অনেক উদ্বেগ থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানির সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু সেখানেও অনেক খরচের বিষয় আছে। আর সফরটি শুরু হতেও বেশি দেরি নেই। তাই যথেষ্ট নিরাপদ মনে না করায় আমরা সমর্থকদের না যাবার পরামর্শ দিয়েছি।
এর আগে ২০০৩, ২০০৯ ও ২০১০ সালে বার্মি আর্মি বাংলাদেশে এসেছিল। ওই সময় তারা এখানে ভালো সময় কাটিয়েছে। কিন্তু গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর ভ্রমণ সতর্কবার্তা জারি করায় এবার আসছে না বার্মি আর্মি।
তবে ভবিষ্যতে আবার বাংলাদেশে যাবার কথা জানিয়েছেন বার্মি আর্মি প্রধান বার্নহ্যাম। তিনি বলেন, ইংল্যান্ড টিম সেখানে যাচ্ছে, তাতে আমরা খুশি, কারণ পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকে অন্য দেশে খেলার আয়োজন করতে হয়নি, তারা নিজেদের মাঠেই খেলার আয়োজন করতে পারছে।