শুক্রবার দেশের তিন জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
এর মধ্যে টাঙ্গাইলে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন ও মাদারীপুরে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
টাঙ্গাইল
শুক্রবার ভোরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পুংলীতে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বাস উল্টে নারীসহ ৫ জন নিহত ও অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আহসান হাবিব (১০), মুস্তাফিজের স্ত্রী আসমা বেগম (৪০), পাটগ্রামের মমিনুর রহমান (৩৫), রিপন (৩০) ও সুমন মিয়া (২৫)।
হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লালমনিরহাট থেকে ঢাকামীগামী একটি বাস পুংলী ব্রিজের কাছে এলে ইঞ্জিনচালিত ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে বাসটি সড়কে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই এক নারী ও দুই পুরুষ যাত্রী মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
আহত ১৪ জনকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক।
খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থাও আশংকাজনক।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. আলী আরশাদ জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামপুরের শশই এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আরও একজন মারা যান। তারা সবাই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাইক্রোবাসে করে সিলেট যাচ্ছিলেন।
মাদারীপুর
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কালিবাড়িতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাহিন্দ্রর সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
রাজৈর থানার এসআই রমজান হোসেন জানান, একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কালিবাড়িতে মাহিন্দ্র পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত ও ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জন মারা যান।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এসআই রমজান হোসেন।