সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় দেশটির অন্তত ৬২ জন সেনা নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
শনিবার পূর্ব সিরিয়ার দেইর আল-জৌর এলাকায় আইএস জঙ্গিদের ওপর মার্কিন যৌথ বাহিনী এ বিমান হামলা চালায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এখানে যে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী অবস্থান করছে, তা তাদের জানা ছিল না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যৌথ বাহিনী ধারণা করেছিল, তারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
পরে রাশিয়ার কর্মকর্তারা বিষয়টি জানালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে। কিন্তু ততক্ষণে সরকারি বাহিনীর অন্তত ৬২ জন সৈন্য নিহত হন।
এদিকে দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান মনিটরিং গ্রুপ জানিয়েছে, মার্কিন বিমান হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ৮০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, সিরিয়ার দেইর আল-জৌর শহরের কাছে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর এই হামলায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর অন্তত ৬২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও অনেকে।
এরপরই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভা ডাকতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানায় রাশিয়া।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা সিরিয়ার বর্তমান যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ঝুঁকিতে ফেলবে এবং এ হামলা আইএস জঙ্গিদেরই সহায়তা করবে।
সিরীয় সরকারের পক্ষ থেকেও একই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও সিরিয়ায় সরকারি বিরোধী হিসেবে পরিচিতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে গত ২০ ঘণ্টায় ৫০টিরও বেশি আক্রমণ চালানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।