নীলফামারী জেলার ডোমারে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে হাজারো গ্রাহক। গত এক সপ্তাহ ধরে লোড শেডিং চরম আকার ধারন করেছে।দিনরাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ ঘন্টার বেশী সময় বিদ্যুত থাকে না। চরম এই লোড শেডিংয়ের কারনে অফিস আদালতসহ কলকারখানা এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।
ডোমার তিথি মার্কেটের দর্জি ইলিয়াছ আলী জানান, বর্তমানে লোড শেডিং এতই চরম আকার ধারন করেছে যে, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বিদ্যুত আসলেও স্থায়ীত্ব থাকে মাত্র ১০ মিনিট। আবার চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। ফলে কাজ কর্মে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
ডোমার বিদ্যুত বিতরন কেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, ডোমার বিদ্যুত বিতরন কেন্দ্রের মাধ্যমে ডোমার, চিলাহাটী পার্শবর্তী উপজেলা ডিমলা ও দেবীগঞ্জে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। এ জন্য বিদ্যুত চাহিদা রয়েছে ১০ মেগাওয়াড। অথচ সরবরাহ করা হয় মাত্র ২ মেগাওয়াড। ফলে আমাদের লোড শেডিংয়ের আওতায় থাকতে হচ্ছে। ডোমার শহরের এ অবস্থা বিরাজ করলেও অন্যান্য এলাকার অবস্থা আরো নাজুক।
চিলাহাটী, ডিমলা ও দেবীগঞ্জের অনেক বিদ্যুত গ্রাহক জানান,লোড শেডিংয়ের পাশা পাশি সারাদিন কিংবা সারা রাত ধরে অপেক্ষা করেও বিদ্যুত পাওয়া যায় না। অপর দিকে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডকে কোম্পানিতে রুপান্তরের প্রতিবাদে বিদ্যুত অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতী কর্মসূচী পালন করছে। ফলে এ বিষয়ে বিদ্যুত বিভাগের কোন কর্মকর্তাই গ্রহকদের সাথে কথা বলছে না। দু-একজন জানান সৈয়দপুর বিদ্যুত সঞ্চালন কেন্দ্রে ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ চলছে তাই এই লোড শেডিং।