উপমহাদেশের স্পিন ও মন্থর উইকেটে ব্যাট-বল উভয় ক্ষেত্রেই এ স্পিনিং অলরাউন্ডারই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিজ মাঠে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি নিতে থাকা ইংলিশদের জন্য এ সফর দুটি এসিড টেস্ট হবে মনে করছেন আলী।
স্থানীয় ডেইলি মেইল পত্রিকাকে আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত সিরিজ দুটি খুবই কঠিন হবে এবং দল হিসেবে আমরা কেমন এ সিরিজ থেকে সেটাও বোঝা যাবে আমি মনে করছি। বাংলাদেশ সম্পর্কে আমরা অনেক বেশি সচেতন। কেননা তারা (বাংলাদেশ) অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আমাদের হারিয়েছে। আমরা জানি তারা ভাল খেলে। টাইগাররা নিজ মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে। তবে আমরা এখন সম্পূর্র্ণ ভিন্ন একটি দল।’
উপমহাদেশের স্পিনিং কন্ডিশন বিবেচনা রেখে বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আদিল রশিদ, জাফর আনসারি এবং গ্যারেথ ব্যাটিকে দলে রেখেছে। তথাপি দলের স্পিন বিভাগের নেতৃত্ব যথারীতি আলীকেই দিতে হবে। তাই বাংলাদেশ এবং ভারত সফরে তাকে যে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখতে হবে, সে বিষয়েও সচেতন তিনি।
প্রেস এসোসিয়েশন স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত সেখানকার কন্ডিশনে আমার খেলা বেশি মানাবে, আমার মনে হয় এক পর্যায়ে আমাকেই গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখতে হবে এবং উভয় দেশে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব বলে আমি মনে করছি।’
খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর২০১৬: আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশকে মোটেই হাল্কাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মঈন আলী বলেছেন, টাইগাররা যে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, সে সম্পর্কে তার দল পুরোপুরি সচেতন। বাংলাদেশের পর আসন্ন ভারত সফরে দলের ভাগ্য অনেকটাই তার নিজের পারফরমেন্সের উপর নির্ভরশীল হলেও কোন চাপ অনুভব করছেন না বলেও উল্লেখ করেন আলী।