বিমানবন্দর হজ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রবিবার বিকাল পৌনে ৬টা পর্যন্ত চারটি বিমান এবং ১০টি সৌদি এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ও হজ ফ্লাইট হাজিদের নিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসব এয়ারলাইন্সে প্রায় সাড়ে চার হাজার হাজি দেশে ফেরেন। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যান।
ময়মনসিংহের ফুলপুরের আবদুর রহমান এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতে হোটেল, বাস ও বিমানবন্দর মিলিয়ে তাকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। শনিবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে শাহজালালে পৌঁছান তিনি। এই ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। এর আগেই বিমান কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ফ্লাইটটি রাত দেড়টা নাগাদ পৌঁছাবে। শেষ পর্যন্ত এটি পৌঁছায় রাত ২টা ৫০ মিনিটে।
আবদুর রহমান বলেন, ফিরতি ফ্লাইটের অব্যবস্থাপনা তাকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে জেদ্দা বিমানবন্দরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে বয়স্ক ও নারী হাজিদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবার, টয়লেট ব্যবহারসহ বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
রোববার বিমানবন্দরে ভুক্তভোগী কয়েকজন হাজি জানান, মোয়াল্লেমের গাফিলতি ও সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে দেরিতে লাগেজ পৌঁছানোর কারণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হাজিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শনিবার বিমানের প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইটে ৪১৯ জন হাজির ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মোয়াল্লেমের গাফিলতির কারণে তারা সময়মতো বিমানবন্দরেই যেতে পারেননি। পৌঁছায়নি তাদের লাগেজও। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা দেরিতে শাহজালালে পৌঁছে ফ্লাইটটি।
তারা জানান, জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সিডিউলের প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর ছাড়ছে বিমানের হজ ফ্লাইটগুলো। ফলে বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় হাজিদের।
ঢাকার সাভারের আবদুল লতিফসহ বিমানে ফেরা কয়েকজন হাজি জানান, মোয়াল্লেমের গাফিলতি ও বিমানের অব্যবস্থাপনাই শুধু নয়, হোটেল থেকে বিমানবন্দরে যেতে যানবাহনের সমস্যায়ও পড়তে হয় হাজিদের। জেদ্দা বিমানবন্দরে লাগেজ তল্লাশি নিয়েও ভোগান্তির শিকার হতে হয়। জোনায়েদ নামে এক হাজি জানান, দীর্ঘ সময় হাজিরা হোটেল, বিমানবন্দরে বসে থাকলেও মোয়াল্লেমের কোনো গরজ দেখা যায় না।