অপহরনের দুই মাস পর ছেলে মেয়েসহ তৈয়রুননেছা নামক এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামের গৃহবধূর ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামের হারুন মিয়ার বাড়ি থেকে গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ ছেলে মেয়েসহ অপহৃতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
অপহৃত রজনপুর গ্রামের তৈয়রুননেছার ভাই খৈয়াজ মিয়া জানান, তাঁর বাড়ির পাশে কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নের হারুন মিয়ার কিছু কৃষি জমি রয়েছে। বাড়ির পাশাপাশি বলে হারুন মিয়ার কাছ থেকে কিছু জমি কিনতে চেয়েছিলেন গৃহবধূ। কথাবার্তা শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাহির আলীর মাধ্যমে তৈয়রুন্নেছা জমির জন্য হারুন মিয়াকে ৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকা নেওয়ার পর হারুন মিয়া আর জমি রেজিষ্টারী করে দেয়নি। পরে টাকা ফেরৎ আনতে দুই মাস আগে হারুন মিয়ার কাছে টাকা আনতে গেলে গৃহবধু তৈয়রুন্নেছা এবং তাঁর ছেলে নজরুল ইসলাম (৭) ও মেয়ে কালিমা বেগম (৫)কে অপহরণ করে নেয়। অপহরণের পর বিভিন্ন স্থানে তাকে লুকিয়ে রাখা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটকাবস্থায় বোনের অবস্থান জেনে রোববার দুপুরে ভাই খইয়াজ মিয়া কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
কমলগঞ্জ থানার সহকারী পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ ছেলে মেয়েসহ অপহৃতা গৃহবধূ তৈয়রুননেছাকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে গৃহবধুর ভাইয়ের একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে নতুন করে অভিযোগ দিচ্ছেন। ওসি সাহেব বিষয়টি দেখবেন।
তবে অভিযোগ সম্পর্কে হারুন মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি কাউকে অপহরণ করেননি। তিনি কোন গৃহবধূকে অপহরন করেননি বা কারো কাছ থেকে টাকাও নেননি।