বরগুনা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কর্যকারী সদস্য ও শ্রমিক নেতা মো. হায়দার আলী (৪০) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আমলকিতলা গ্রামে তার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় হায়দারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মো. হায়দার আলী এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের আমলকিতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, হায়দার আলিশারমোড় বাস কাউন্টার থেকে আমলকিতলায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় বাড়ীর সামনে ওত পেতে থাকা ছয় সাতজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। হায়দার ডাক চিৎকার দিলে দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কমলেশ দেবনাথ জানান, রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে পাঠানো হয়। নিহত হায়দার আলীর স্বজনরা জানান, মাদক স¤্রাট পনু মুন্সিকে ধরিয়ে দেওয়ার পিছনে হায়দার আলীর সহযোগীতা ছিলো। তাই পনু মুন্সি জামিনে মুক্ত হওয়ার পরই হায়দার আলীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের ধারণা পনু মুন্সিই ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হায়দার আলীকে হত্যা করেছে। বরগুনা থানার ওসি মো. রিয়াজ হোসেন পিপিএম বলেন, অপরাধীদের গেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ হত্যার মূল রহস্যসহ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।