সোমবার এই ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে পুনরায় তল্লাশী ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
রোববার বিকেলে প্রাচীন নগরী আয়ুথায়ার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি নৌযান শক্তিশালী ঢেউয়ের আঘাতে কংক্রিটের একটি বাঁধের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় নৌযানটির যাত্রীরা একটি মসজিদ থেকে ফিরছিলেন।
নৌযানটির ধ্বংসাবশেষ থেকে ৮ বছর বয়সী একটি বালকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর একটি সাদা প্লাস্টিকের শিটে শুইয়ে দেয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিখোঁজরা যেন পথ চিনে আসতে পারে সেজন্য মধ্যাহ্নভোজনের সময় পর্যন্ত উদ্ধার কর্মীরা সাদা রঙের একটি বোর্ড ব্যবহার করেন।
এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে ৬টি শিশু রয়েছে।
আয়ুথায়ার ডেপুটি গভর্নর রেওয়াত প্রাসং বলেন, এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে কোন বিদেশী নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৌযানটির ক্যাপ্টেনকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দো-তলা নৌযানটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার অনুমতি দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে।
আয়ুথায়া পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা সুধি পুয়েঙ্গপিকুল বলেন, ‘নৌযানটিতে একসঙ্গে প্রায় ৫০ জনের ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় সেখানে শতাধিক লোক ছিল।’
আয়ুথায়ার একটি মসজিদে একজন মুসলিম আলেমের স্মরণ সভায় যোগদান শেষে ফিরছিলেন।
মৃতদের অনেকে নৌযানটির ডেকের নিচের অংশে আটকা পড়ে আছে।
কর্মকর্তারা বলেন, নৌযানটি নদীর তীরের কাছে ডুবে না গেলে মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারত।
খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার,২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: থাইল্যান্ডের চাও ফ্রেইয়া নদীতে মুসল্লিবাহী একটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌযান ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ডুবুরীরা সোমবার একটি বালকের মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে। এই নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হলো।