একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এমএ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় আসামিরা হলেন- ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাংসদ এমএ হান্নান, ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ(৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ(৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু(৬৩), মো. হরমুজ আলী(৭৩), মো. ফখরুজ্জামান(৬১), মো. আব্দুস সাত্তার(৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী(৬৩)।
এর মধ্যে আসামি মো. ফখরুজ্জামান, মো. আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী পলাতক রয়েছেন। বাকীরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন সাংবাদিকদের জানান, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা সময় চেয়েছি। আদালত ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গত ১১ জুলাই এই আটজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। পরদিন এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন।
চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুমসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। তদন্ত সংস্থা ওই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু করে এবছরের ১১ জুলাই তা শেষ করে।
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে নিজ বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে।