খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ আদেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের আশির উদ্দিনের স্ত্রী মোছা: হাসিনা খাতুনের কাছ থেকে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ও ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারী দু-দফায় ৫৫ হাজার টাকা ধার নেয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামের দেলোয়ার রহমানের স্ত্রী রেহানা খাতুন। দীর্ঘদিন ধরে টাকা পরিশোধ না করে রেহানা খাতুন তাদেরকে সময়ক্ষেপন করে। পরে টাকা ধার নেওয়ার কথা অস্বীকার করে।
পরবর্তিতে রেহানা খাতুন টাকা দেবে বলে ১১ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে আসতে বলে হাসিনা খাতুনের ছেলে উজ্জল হোসেনকে। এসময় ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ হোসেন কে দিয়ে অবৈধভাবে উজ্জল হোসেনকে গ্রেফতার করায়। এএসআই আরিফ হোসেন উজ্জল হোসেনকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা আসমা-উল-হুসাইন নামে আরো একজন আরিফ হোসেনকে এ কাজে সহযোগীতা করে। পরে থানা থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে উজ্জল হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে উজ্জল হোসেনের পিতা আশির উদ্দিন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক আজ বিকাল ৪ টার দিকে এএসআই আরিফ হোসেন, রেহানা খাতুন ও আসমা-উল-হুসাইন এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।