খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহনের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সহ সকল স্তরের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত জরুরী। বর্তমান সরকার ৫জানুয়ারীর একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচন, বিতর্কিত পৌর ও ইউনিয়ন নির্বাচনের মাধ্যমে যে অস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে তা থেকে উত্তরনে একটি মাধ্যম হতে পারে আগামীতে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট গ্রহন যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে। সেই লক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’ গঠনের পূর্বেই দেশের নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহন করতে পারেন। যার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করারও পথ খুলে যেতে পারে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে দেশের সকল রাজনৈতিক দলই তা মেনে নিতে পারে। সরকার যদি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার টেবিলে আহ্বান জানায় তাতে তারা সাড়া দেবে এবং তাদের মতামত তুলে ধরবে বাংলাদেশ ন্যাপ। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা যদি সবার মতামত উপেক্ষা করে নিজেদের মতো করে বর্তমান কমিশনের মতো ফের ‘পক্ষপাতমূলক-মেরুদন্ডহীন ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন’ করে তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো অস্থিতিশীর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যা রাজনৈতিক দল ও গণন্ত্রের জন্য শুভ ইঙ্গিত বহন করবে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, শুধু ক্ষমতাসীন জোট ছাড়া দেশের জনগন ও প্রতিটি রাজনৈতিক দল স্বাধীন, শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দেখতে চায়। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও হতে হবে নিরপেক্ষ। তবে বর্তমান কমিশনের মতো যদি আরেকটি কমিশন গঠন করা হয় তাহলে তা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। দেশের মানুষও তা মেনে নেবে না। আমরা চাই, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। দেশের সব মানুষেরই একই দাবি। এটা দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিসহ সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পুনর্গঠন করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের সহযোগী হিসেবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও ঢেলে সাজাতে হবে। এরপরই নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা অনুষ্ঠিত হতে পারে।