খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬: গুলশান হামলা, বাক-স্বাধীনতা দমন ও ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করতে মুক্তমনা লেখক, শিক্ষক, সমকামী কর্মী ও ধর্মীয় গুরুদের ওপর হামলায় ৫০ জনের অধিক খুন এবং মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে বিচার বিভাগ রাজনৈতিক হস্তেেপর শিকার হচ্ছে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশে সরাসরি হস্তপে করতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। : বাংলাদেশ ছাড়াও তুরস্ক এবং ইথিওপিয়ার পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের হস্তপে কামনা করেছে মানবাধিকার এইচআরডব্লিউ। বাংলাদেশসহ তিনটি দেশে : সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশ, তুরস্ক এবং ইথিওপিয়ার পরিস্থিতিকে উপো করতে পারে না জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। : সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে এইচআরডব্লিউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে। এর আগে বাক-স্বাধীনতা দমন ও ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করতে মুক্তমনা লেখক, শিক, সমকামী কর্মী ও ধর্মীয় গুরুদের ওপর দুর্বৃত্তদের দ্বারা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫০ জনের অধিক মানুষ খুন হয়েছেন। এসব হামলার কোনো কোনোটা খুব নীরবে হয়েছে, আবার কোনোটা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের। : এছাড়া বাংলাদেশে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে দেশটির বিচার বিভাগ রাজনৈতিক হস্তেেপর শিকার হচ্ছে। এসব বিষয়ে দেশটিতে সরাসরি হস্তপে করতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আহবান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। : এছাড়াও তুরস্কে ১৫ জুলাই ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ২২ হাজার সেনা সদস্য, পুলিশ, বিচারক ও প্রসিকিউটরকে কারাগারে আটক করা হয়। প্রায় ১ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও শিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্তত ১৩১টি গণমাধ্যম বন্ধ ও ১১৬ জন সাংবাদিকের অপরাধ তদন্ত বিচারাধীন রয়েছে। তুরস্কে জরুরি অবস্থার নামে আটকদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দেশটির এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত হবে সুষ্ঠু পর্যবেণ ও স্বাধীন তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত কমিশনের দ্বারস্ত হওয়া। : আর ইথিওপিয়ায় সরকার বিরোধী বিােভের জেরে গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন ৫ শতাধিক মানুষ। গত বছরের নভেম্বর থেকে ওরামিয়া এলাকায় শুরু হওয়া এ বিােভে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে আরও হাজারখানেক। এসব কারাবন্দির মধ্যে অনেকেই আবার কারাগারেই নিহত হয়েছেন। এ বিােভের জেরে দেশটির কিছু স্বাধীন গণমাধ্যমকে কৌশলগতভাবে খবর প্রকাশের ব্যাপারে সীমাবদ্ধতার ঘোষণা দিয়েছে।