Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬:  জেনে নিন, কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে কী কী ভুল ধারণা রয়েছে। ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।

১. রোজ পেট পরিষ্কার হতেই হবে: এর কোনও মানে নেই। এটা পুরোপুরি নির্ভর করে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন, তার উপরে।

২. পেট পরিষ্কার না হলে শরীরে টক্সিন জমে: পেট পরিষ্কারের সঙ্গে এরও কোনও যোগ নেই। যা খেয়েছেন, তা যদি হজম হয়, তাহলে কিছুই হবে না। প্রস্রাব ঠিকমতো হলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়।

৩. প্রচুর ফাইবার খেতে হবে: ফাইবার খেলে পেট পরিষ্কার হয়। কিন্তু বেশি ফাইবার খেলে হিতে-বিপরীত হবে।

৪. চিউইং গাম গিলে ফেললে কোষ্ঠকাঠিন্য অনিবার্য: হাস্যকর যুক্তি। কোনও সম্পর্ক নেই।

৫. বেড়াতে গেলে ‘ইয়ে’ আটকে যাবে: অন্য জায়গা, অন্য পানি। পেট আটকে যাওয়া অনিবার্য। এই ধারণা ভুল।

৬. মেজাজ খিঁচড়ে থাকলে আর হবে না: লাগলে সব অবস্থাতেই লাগবে। নইলে…

৭. চেপে রাখলে ক্ষতি নেই: এ-ও আর এক ভুল ধারণা। যত বেশি বেগ চেপে রাখবেন, ততই কোষ্ঠকাঠিন্য ঘাড়ে চেপে বসবে।

৮. ওষুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে: একেবারেই হাতেগোণা কয়েকটি ওষুধের ক্ষেত্রে সঠিক। বিশেষ করে আয়রন বা কাশির ওষুধের ক্ষেত্রে।

৯. আমসত্ত্ব, খেজুরে কাজ হয়: এ সবে কোনও কাজ হয় না।

১০. বেশি করে পানি খেলে পেট পরিষ্কার হবে: পানি খেলে নিঃসন্দেহে স্টুল নরম থাকে। কিন্তু খুব বেশি পানি খাবেন না। শরীরে যতটা নেবে, ততটাই খান।

১১. ব্যায়াম করলে পেট পরিষ্কার হয়: সেটা আংশিক ঠিক। বরং উল্টোটা বেশি সত্যি। পেট পরিষ্কারের পরে ব্যায়াম করলে শরীরের উপকার বেশি হয়।

১২. কফি খেলে পেট পরিষ্কার হয়: ক্যাফেইনে পেটের মাংশপেশী স্টিমুলেটেড হয়। কিন্তু ক্যাফেইন নিজে শরীর থেকে পানি কমিয়ে দেয়। তাই কফি খেলে উল্টোটাই হবে।

১৩. পেট পরিষ্কারের ওষুধ খেলে অনিবার্য সাফল্য: মাসে কয়েকবার ঠিক আছে। নিয়মিত সেবনে ধীরে ধীরে ওষুধের কাজ কমতে পারে।

১৪. পেট পরিষ্কারের ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে কাজ করে: অন্তত ছ’ঘণ্টা লাগে। তার আগে বিপদ নেই।

১৫. নাগাড়ে পেট পরিষ্কারের ওষুধ খেতে হয়: খুব প্রয়োজনে খান। নইলে একেবারেই নয়।

১৬. ক্যাস্টর অয়েলে কাজ দেয়: কী খাবেন সেটা চিকিৎসককেই বলতে দিন।

১৭. বয়সের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে: বয়সের সঙ্গে শরীরের গঠনও পাল্টাতে থাকে। পাল্টে যায় হজমক্ষমতা। সেইমতো খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

১৮. একটু রক্ত বেরোলে চিন্তার কারণ নেই: সামান্যতম রক্তও দুশ্চিন্তার কারণ। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।