পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় এ অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির আর্থিক বছর (জুন-জুলাই) অভিন্ন করার নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। অধিকাংশ কোম্পানি আর্থিক বছর পরিবর্তন করলেও ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছুটা বিপত্তি দেখা দেয়। কারণ অর্থবিল বা ফিন্যান্স অ্যাক্ট অনুযায়ী, আয়করের সুবিধার্থে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরে আর্থিক বছরের হিসাব করতে হয়। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন অর্থাৎ জুন-জুলাইভিত্তিক আর্থিক বছর চালুর বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া একই সভায় ‘সপ্তম আইসিবি ইউনিট ফান্ডের’ বেমেয়াদি রূপান্তর-পরবর্তী বিবরণীপত্র বা প্রসপেক্টাস অনুমোদন করা হয়েছে। ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। এটির সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
এদিকে গতকাল থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে ইয়াকিন পলিমারের। লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ টাকা ৪০ পয়সা বা ২২৪ শতাংশ। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে। প্রথম দিনের লেনদেন শেষে ১০ টাকার শেয়ারের দাম ওঠে ৩২ টাকা ৪০ পয়সায়। নিয়ম অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর পর থেকে ৩০ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঋণ সুবিধা মিলবে না।
ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের শীর্ষস্থানে ছিল ইয়াকিন পলিমার। এদিন কোম্পানিটির প্রায় ২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কোম্পানিটির সাড়ে ৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ইয়াকিন পলিমার আইপিওতে মোট ২ কোটি শেয়ার ছাড়ে। এর মধ্যে প্রথম দিনেই দুই বাজার মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শেয়ারের হাতবদল ঘটে।
দেশের দুই শেয়ারবাজারেই গতকাল সূচক বেড়েছে। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই বাজারে ছিল দুই চিত্র। ঢাকার বাজারে লেনদেন কমলেও চট্টগ্রামে বেড়েছে। চট্টগ্রামের বাজারে দুই মাসের ব্যবধানে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪০ কোটি টাকা। গতকাল দিন শেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা বেশি। গত ২৮ জুলাইয়ের পর গতকাল সিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। সর্বশেষ ২৮ জুলাই চট্টগ্রামের বাজারে ৪২ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৫৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৯ কোটি টাকা কম। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৪৭টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ১২৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টির দাম।
