Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
1451695945_333
খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি দেশি-বিদেশি সব মহল থেকে। বিদেশিরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণ করেনি। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশ এখনো তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও নির্বাচন বর্জনকারী অন্যান্য রাজনৈতিক দলও একই অবস্থানে। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচনের বিপক্ষে আগের অবস্থানে অনড়। এদিকে সরকারের মেয়াদও শেষ পর্যায়ে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদায় নেবে রকিবউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এ অবস্থায় একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন ও অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজনীতি এখন অনেকটাই নির্বাচনমুখী। ভেতরে-বাইরে নানা প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। তবে গত জাতীয় নির্বাচন বর্জনকারী দল, বিএনপি ও সিপিবির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ২০১৪ সালের মতো ফের ভোট হলে আরো বাজে অবস্থায় যাবে গণতন্ত্র। সমঝোতার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। গত জাতীয় নির্বাচন বর্জন এবং ঠেকানোর জন্য টানা আন্দোলনেও ছিল বিএনপি। আগাম নির্বাচনের বিষয়েও সবচেয়ে বেশি সরব তারা। তবে সরকারি দলের নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ মনে করেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু না পেয়েই আগাম নির্বাচন চাইছে বিএনপি। আবার গত জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় দেড় শর বেশি আসনে ভোটেরই দরকার পড়েনি। তাই পরবর্তী নির্বাচনের আগে যাতে এমন পরিস্থিতি আবার তৈরি না হয় এমনটাই চান বিরোধী দলের নেতারা।  তবে নির্বাচন প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন আসন নিশ্চিত এবং কোনগুলো অনিশ্চিত তা নিয়ে কাজ চলছে। দলের হাইকমান্ড যেসব আসনের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হবেন, সেগুলো ছাড়া বাকিগুলো নিয়ে হিসাব-নিকাশ করা হবে। অধিকাংশ আসনের ক্ষেত্রেই প্রার্থী বদল হবে। বিতর্কিত, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন এমপিরা আর দলীয় মনোনয়ন পাবেন না। বিপরীতে উন্নয়ন, জনকল্যাণকর কাজ, দলে অবদান এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এসব নেতাকে প্রার্থী করেই সাজানো হবে পরবর্তী নির্বাচনের ছক। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যেই সরকারি-বেসরকারিভাবে জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি আসনে জনপ্রিয়তা যাচাই করে একাধিক প্রার্থীর নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বর্তমান সংসদের এমপিদের মধ্যে কারা এলাকামুখী, জনপ্রিয় এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। কারা স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এমপিদের সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তৈরি করা হবে তাদের আমলনামা। যেসব আসন ঝুঁকির মধ্যে সেগুলোতে বিকল্প প্রার্থীর সন্ধানও শুরু হয়ে গেছে। : এদিকে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় স্পষ্ট করেই দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্বাচনি এলাকামুখী হওয়ার নির্দেশ দেন। গত দুই ঈদে এমপি এবং নেতাকর্মীরা ব্যাপক হারে গণসংযোগ করেছেন। এছাড়া বন্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা না হলেও সরকারের গৃহীত উন্নয়ন পদক্ষেপগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সৈয়দ আশরাফ আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপির প্রতিও আহ্বান জানান। : আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, প্রতিটি নির্বাচনের আগে নিজস্ব দলীয় টিম নির্বাচনি এলাকাগুলোতে যে জরিপ চালায় তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দলের নির্বাচনি পরিচালনা কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক ভোটারদের অবস্থান, মানসিকতা, দলের প্রতি সমর্থনের হার, প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ শেষে সেগুলো বিশ্লেষণ করে দলীয় হাইকমান্ডের কাছে তুলে ধরা হবে। কেবল নিজ দলের প্রার্থীদেরই নয়, প্রতিপক্ষ দল এবং প্রার্থীদের খবরও নেয়া হচ্ছে। : পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, দল ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপও নির্বাচনমুখী। নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে জনসম্পৃক্ত সরকারি কর্মসূচিগুলোকে। ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকায় চাল বিক্রি কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। ইতিমধ্যে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির পথে দেশ অনেকদূর এগিয়েছে। উদ্বোধন হয়েছে পায়রা বন্দর। রাজধানী ঢাকাসহ সর্বত্র দৃশ্যমান উন্নয়নও সরকারকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। : এদিকে বিএনপির প্রধান লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে দলটি। পর্যায়ক্রমে শুরু হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, নির্বাচনি ইশতেহার তৈরিসহ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জনমত তৈরিতে মাঠে নামছে দলটি। সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দলটির নেতারা মনে করেন, যে কোনোভাবে একটি অবাধ নির্বাচন হলে তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। দলীয় ভোটের পাশাপাশি সরকারবিরোধী বড় একটি অংশের ভোটও তাদের বাক্সে পড়বে। : সূত্রমতে, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এ লক্ষ্যে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী একটি দল। জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মতো সার্বিক প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই। যাতে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। এমন একটি নির্বাচনে যারাই জয়লাভ করবে বিএনপি তাদের স্বাগত জানাবে। সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দ্রুত উদ্যোগ নেবে বলে আশা করেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক। : আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দেশের জনগণ মুখিয়ে আছে। আর বিএনপি এ লক্ষ্যে প্রস্তুত আছে। বিএনপির মতো একটি দলে যে কোনো মুহূর্তেই নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি থাকেই। তিনি বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শুধু স্বাধীন কমিশন নয়, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তা ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষমতা কি থাকবে এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এসব বিষয় দ্রুত সমাধান করা উচিত। তবে তা সরকারি বা দলীয়ভাবে না করে জাতীয়ভাবে সমাধান করতে হবে। তাহলেই একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। : তিনি বলেন, দল গোছানোর আগেই হাইকমান্ড তাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মূলত আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ওইসব নির্দেশনা দেয়া হয়। পুনর্গঠনের পাশাপাশি প্রতিটি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। যারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক তাদের জেলা বা উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ না দিতে হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে। পুনর্গঠনের আগে সংশ্লিষ্টদের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হচ্ছে। অনেকেই জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে এমন নিশ্চয়তা পেলে তারা তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ নেবেন না। এমন নেতাদের একটি তালিকা করা হচ্ছে। পুরো তালিকা করে চেয়ারপারসনের কাছে জমা দেয়া হবে। তিনি বলেন, তৃণমূলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে যোগ্য প্রার্থীকে তারা ভোট দিতে মুখিয়ে আছে। জনগণের সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। : অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করেছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। এ ইস্যুতে বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমেছে দলটি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে দল মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি খসড়া তালিকা তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন এরশাদ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন করতে চান তিনি। এ জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছেন। এর অংশ হিসেবে দলের নেতারা কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে চান, তা জানতে চেয়েছেন এরশাদ। নির্বাচনি এলাকায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থাও জানানোর জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দলটির একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। : সূত্র জানায়, প্রার্থী তালিকা তৈরির পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে আগামী ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে সাংগঠনিক সফরে বের হবেন এরশাদ। সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি এ সফর শুরু করবেন। সিলেট হয়ে এরশাদ হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার যাবেন। এরপর যাবেন নিজের নির্বাচনি এলাকা রংপুরে। রংপুর থেকে ফিরে এরশাদ যাবেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। ইতিমধ্যে এসব জেলায় সাংগঠনিক সফর সফল করতে দলের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে পৃথক টিমও গঠন করা হয়েছে। রংপুরের দায়িত্ব এরশাদ নিজের হাতে রেখেছেন। সঙ্গে রেখেছেন ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে। : এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেন, আমাদের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য, তা হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নেয়া। তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। দেখতে দেখতে সময় ঘনিয়ে আসবে। তাই আমরা আগেভাগেই নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করেছি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত এবং শক্তিশালী করার কাজটিও জোরালোভাবে চলবে। এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামীতে এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেয়া। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংসদের ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেয়ার জন্য আমরা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করার কাজ শুরু করেছি। দলের নেতারা কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে চান, পার্টি চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে তা জানতে চেয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত নেয়ার কাজ চলছে। জানা গেছে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রার্থী বাছাই এবং সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশনা জানিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে চার দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে