রাঙ্গামাটি জেলায় সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থান নিশ্চিত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে স্থানীয় মিডিয়াকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন রাঙ্গামাটিতে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান। পাশাপাশি রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গরুপে চালুর বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তা দেবেন বলে মতব্যক্ত করে তিনি বলেন, এক্ষত্রেও মিডিয়াকর্মীদের ভূমিকা অত্যাবশ্যক। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স্থানীয় মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, মো. মানজারুল মান্নান রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নেন ২২ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে।
জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান বলেন, রাঙ্গামাটিতে বহু জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, ধর্ম, বর্ণ মানুষের বসবাস। এখানে সব স¤প্রদায়ের স¤প্রীতি ও সহাবস্থান রক্ষায় প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এখানে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি তুচ্ছ বিষয়কে ঘিরেও নানা গুজব রটেছে। ভবিষ্যতে এরকম যাতে কিছু না ঘটতে পারে এবং সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার শান্তিশৃংখলা রক্ষায় প্রশাসেনর একার পক্ষে সম্ভব নয়, প্রয়োজন সবার ঐকান্তিক চেষ্টা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জনস্বার্থে কোনো বিস্ফোরন্মুখ সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার থেকে বিরত থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।
ওই মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসাইন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়াও মিডিয়াকর্মীদের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ, সুনীল কান্তি দে, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, আনোয়ার-আল হক, সাংবাদিক ফজলে এলাহী, মোস্তফা কামাল, শান্তিময় চাকমাসহ অন্যরা।