
নির্বাচনবিহীন অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড, সারাদেশে গুম-খুন, রাহাজানী, মিথ্যা জেল জুলুম, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ, অবৈধ উপায়ে স্টক মার্কেট, হলমার্ক, ডেসটিনি, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ কারী, নব্য বাকশালী অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশীদের চরম প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশ দুতাবাসে তার পুর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে বাধ্য হয়।
হাসিনার পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে মুহুমুহ শ্লোগানের মধ্যে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দুতাবাসের সামনে এই অভুতপুর্ব প্রতিবাদমুখর কর্মসূচীতে গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সাথে সাধারন মানুষ ও স্বতঃষ্ফুর্ত অংশগ্রহন করে। গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সাধারন সম্পাদক এজেএম হোসাইনের নেতৃত্বে এবং সহ সভাপতি কাজী এম রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক কামাল এর সার্বিক তত্বাবধানে শতাধিক নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে।
নেতৃবৃন্দ “খুনী হাসিনা ফিরে যাও, হাসিনা গো ব্যাক, হাসিনা গো ডাউন” শ্লোগানে বাংলাদেশ দুতাবাসের সামনের ইন্টারন্যাশনার ড্রাইভ প্রকম্পিত করে। ওয়াশিংটন বিএনপির এ প্রতিবাদ কর্মসূচীর মুখে শেখ হাসিনা তার দুতাবাসের নির্ধারিত কর্মসূচী বাতিল করেন।
উক্ত অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে স্থানীয় অনেক মিডিয়া কর্মী জড়ো হন। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাধারন সম্পাদক এজেএম হোসাইন বলেন, যতদিন পর্যন্ত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান, বাংলার জনগণের নয়নমনি তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বীরের বেশে বাংলার মাটিতে প্রত্যার্পন করবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। “যেখানে হাসিনা সেখানে প্রতিরোধ” এ কর্মসূচীকে আগামীতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ওয়াশিংটন প্রবাশী সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঔক্যবদ্ধ করে আরো কঠোরভাবে পালন করা হবে বলে জানান।
ওয়াশিংটন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এজিএম হোসেনের তত্তাবধানে ও পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা খালেদ তফাদার, মাসুদুর রহমান, তারিকুল ইসলাম অশ্রু, মুনির হোসেন, মোহাম্মদ শাহরিয়ার রহমান, খোরশেদ আলম কাজী, সৈয়দ ইউসুফ ওয়াহিদ(আরিফ), সাবেক প্রধান উপদেষ্ঠা শরাফত হোসেন বাবু, উপদেষ্টা নাছের রহমান, উপদেষ্টা লিয়াকত হোসাইন খান, আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তোফাইল আহমেদ, তৈয়ব হোসাইন, রাসেল আহমেদ,কামাল পাশা, জিনাত উল্লাহ, ফিরোজ আলম, বেলাল হোসেন, রাসেল আহমেদ,জাকির আহমেদ, আবদুস সবুর জুয়েল, রেজা রহমান, আলমাজ রাজু, জাহাঙ্গীর আলম, রুপা জাহাঙ্গীর, আল আমীন,মোঃ মোখলেসুর রহমান (লিটন), নুরুন্নহার খাতুন, মনোয়ার বেগম, মোঃ মহশিন, কামরুজ্জামান, জামাল উদ্দিন, শাহনাজ আকতার, ফাতেমা বেগম,সাবিনা হোসাইন পলি, আতিকুর রহমান প্রমুখ।