Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬: : মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পদ্মার শাখা নদীতে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে করে ফসলী জমি, দিঘিরপাড় বাজার ও এর আশপাশের গ্রামগুলো রয়েছে হুমকির মুখে। ইতিপূর্বে শত শত একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীর।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বালু মহল ইজারা জেলা প্রশাসন কর্তৃক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দিঘিরপাড় বাজারের পূর্ব পাশে শিলই ইউনিয়নের রাকিরকান্দি গ্রামের শাহাদাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। সরেজমিনে দিঘিরপাড় বাজারের পূর্বপাশে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে সরাসরি ড্রেজার লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে বালু ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। সেখানে দুটি পদ্ধতিতে বালু তুলছেন শাহাদাত হোসেন ও তার লোকজনেরা। একটি হলো সরাসরি পাইপ দিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ডোবা ও পুকুরে বালু ফেলছেন। অন্য পদ্ধতিটি হলো নদীর পাড়ে বালু তুলে সেটাকে মাহিন্দ্র ট্রলি, ট্রাক্টারসহ বিভিন্ন মালবাহী পরিবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় বালু সর্বরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া বালু উত্তোলনের দায়ে শাহাদাতের নামে একাধিক মামলা কোর্টে চলমান রয়েছে এবং জেল ও খেটেছিলেন বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় গ্রামের করম আলী বলেন, শাহাদাৎ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু কাটলেও প্রশাসনের লোক কিছুই বলেনা। প্রশাসনের লোক আসলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যায়। বালু উত্তোলনের ফলে ফসলী জমি ও ঘরবাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে।
আরেক স্থানীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোন মতে নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা। প্রতিবাদ করেন না কেন? জবাবে তিনি বলেন, বড় বড় রাঘব বোয়াল রয়েছে শাহাদাতের সঙ্গে। প্রশাসনের লোকের সাথে শাহাদাতের সম্পর্ক গভীর। আমরা প্রতিবাদ করলে হামলা, মামলার স্বীকার হব। আমাদের নিরাপত্তা দিবে কে?।
বালু ভরাটের বিষয়ে শাহাদাতের সাথে ফোনালাপকালে তিনি বলেন, নদীতে আমাদের বাপ, দাদার জমি আছে তাই বালু উত্তোলন করি। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছি। আপনারাদের কোন কিছুর প্রয়োজন হলে বলেন, আমার লোক দেখা করবে। আপনি কি আমাকে ঘুষ দিতে চাচ্ছেন ? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন শাহাদাৎ।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি, মুন্সিগঞ্জ মোঃ সাঈদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলম মজুমদার বলেন, এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।