খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬: খাগড়াছড়ি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি’র)-এর ৭ সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার এই দুই জেলার পৃথক দুটি আদালত এই রায় প্রদান করেন।
খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি’র) চট্টগ্রাম অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আব্দুর রহিম ওরফে জাহিদসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাদের দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইনামুল হক ভূঁঞা সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা মামলায় এ কারাদণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হচ্ছে মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে সজিব, মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছ ও সামছু মিয়া। মামলার অপর আসামি শামীম আহমেদ পলাতক রয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেএমবি সদস্যদের আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ, ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে র্যাবের একটি বিশেষ দল খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেএমবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আব্দুর রহিম ওরফে জাহিদ হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে সজিব, মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছ ও সামছু মিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরবর্তীতে পাঁচজনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়েতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইব্যুন্যাল-২-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউর রহমান এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার কলাইদিয়াড় গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মমিন (২১) ও ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভুজা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রবিউল (২৫)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৪ জুন গুলি ও জিহাদী বইসহ শিবগঞ্জ উপজেলার খড়গপুর এলাকা থেকে মমিনকে গ্রেফতার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২ দিন পর ১৬ জুন ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভুজা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজবাড়ি থেকে ১টি শুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলি তৈরির উপকরণসহ রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মমিন ও রবিউলের বিরুদ্ধে ওইদিনই ভোলাঘাট থানায় মামলা করেন। ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই মমিন ও রবিউলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওহিদুজ্জামান।