খোলা বাজার২৪, রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬: বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও রণজিৎ কুমার সরকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ভুক্তভোগী মো. সামসুল হক সানুর দায়ের করা মামলায় দুদকের তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও শনিবার তা জানাজানি হয়।
এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া অপর তিনজন হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ২০১২-১৩ অর্থ বছরের তৎকালীন ইউপি সদস্য মো. নাজমুল আহসান নিজাম, মো. মহিব্বুল্লাহ রিপন এবং তাছলিমা এলেনুর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত একাধিক প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে বরগুনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং দঃ বিঃ ৪০৯/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেন বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের বাসীন্দা মো. সামসুল হক সানু (বিশেষ মামলা নং-০২/২০১৩)। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত মঙ্গলবার পিআইও রণজিৎসহ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বাদী মো. সামসুল হক সানু তার অভিযোগে বলেন, পিআইও রনজিৎ সরকার অপর অসামিদের যোগসাজশে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চারটি প্রকল্পের অনুকূলে কোনো কাজ না করেই বরাদ্দকৃত ১৮ লাখ টাকার মধ্যে ১৭ লাখই আত্মসাৎ করেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আত্মগোপনে রয়েছেন পিআইও রণজিৎ কুমার সরকারসহ অপর তিনজন। তাই পুলিশ এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।