খোলা বাজার২৪,রবিবার,২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬: বেনাপোল-আক্টোম্বর প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে শারদীয় দূর্গাউৎসব। উৎসবকে ঘিরে শার্শা বেনাপোলের বিভিন্ন পূজা মন্ডবে মৃতশিল্পিদের নিপুণ আঁচড়ে গড়ে উঠছে প্রতিমা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কদিন পরেই মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে মর্ত্যলোকে। এবার বেনাপোল সহ শার্শা উপজেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ২৬টি মন্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। তবে শার্শার লক্ষনপুর ও ডিহি ইউনিয়নের সংখ্যালঘুরা অর্থাভাবে কোন প্রতিমা তুলতে পারেনি। পায়নি সরকারি বেসরকারি কোন অর্থ। অনেক মন্ডবে প্রতিমা রং করতে পারেনি আশ্রম কর্তপক্ষ। সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। তবে অধিকাংশ মন্ডবে রঙের আঁচড়ে পরম যতেœ মূর্তি গুলোতে অবয়ব দিতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন ভাস্কররা।
শত বছরের পুরোনো মন্দির। বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলোর প্রধম অবয়ব দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্ম পূজারিরা। তবে এখনও অর্থাভাবে প্রতিমা রং করতে পারেননি গোড়পাাড়া পূজা মন্দিরের কতর্ৃৃপক্ষ।
গোড়পাড়া পূজা উৎযাপন কমিটি সভাপতি পরিতোশ সরকার বলেন বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে ্এলাকার মানুষের কৃষি জমি ও মাছের ঘের। কষ্টে দিন কাটছে অনেকের। এবার সহযোগিতা মেলেনি এখনও। অনেক মন্ডবে প্রতিমা রং করতে পারেনি আয়োজকরা। তারপর উৎসব হবে বলে জানান তারা।
লক্ষারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন শান্তি ও স্থানীয়রা বলেন,পানিতে ভেসে গেছে এলাকা-দুর্দিনে মানুষ-ফলে এবার পূজা হচ্ছেনা এলাকায়। আগামী বছর সার্বজনিন উৎসব হিসাবে দূগাপুজা করা হবে বলে আশা করেন তারা।একই কথা বলেন ডিহি ও গোড়পাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু নারীরা।
ফনিভূষন পাল ও আরবিন্দু দেবনাথ ও কাকলি বালা বলেন- দুর্গা উৎসবে প্রতিমা রং করা শুরু হয়েছে আনন্দিত তারা। এবার মহাধুম ধামে পুজা করবেন আশা তাদের।
শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ দাস-ও যুগ্নসম্পাদক সুকামার দেবনাথ বলেন,প্রতিবারের ন্যায় এবারো উপজেলায় সর্বজনীন উৎসবে পালিত হবে দূর্গাউৎসব। বিভিন্ন পুজা মন্ডব পরিদর্শন করা হযেছে। নিরাপত্বায় প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। উপজেলায় দূর্গাউৎসবের সকল প্রস্ততি সম্পূন্নের পথে, আইনশৃঙাখলা ভাল রয়েছে। জমবে ভাল পূজা।
শার্শা উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুস সালাম বলেন,প্রতি পূজা মন্ডব কতৃৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারি সহযোগিতার৫০০কেজি চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হবে। প্রশাসন সহ স্থানীয়দের সমন্বয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বলয় তৈরির চেষ্টা অব্যাহত থাকবে মন্ডব এলাকায়,ষ্টাইকিং ফোর্স থাকবে এলাকায়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা ও জেলা সদরে বেঠক করা হয়েছে। সবার সার্র্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।