রোববার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সোমবার সকালে ওই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
হাফিজা বেগম উপজেলার বিল্বগ্রাম এলাকার বাহরাইন প্রবাসী রুবেল উকিলের স্ত্রী।
এদিকে গ্রেফতারের ভয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৬ মাস আগে বিল্বগ্রাম এলাকার তৈয়ব আলী উকিলের ছেলে রুবেল উকিলের সঙ্গে একই এলাকার আদম আলী মল্লিকের মেয়ে কলেজছাত্রী হাফিজা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুবেল উকিল গত ৯ আগস্ট রাতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। স্থানীয়দের চাপে পরদিন ১০ আগস্ট রুবেল ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করে ঘরে তোলে।
হাফিজার বাবা আদম আলী মল্লিক অভিযোগ করেন, বিয়ের ৫দিন পর চাকরির জন্য রুবেল উকিল বাহরাইন চলে যায়। এরপর কলেজছাত্রীকে গৃহবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারছিল না শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। গত ২২ আগস্ট হাফিজা শ্বশুর বাড়ি থেকে তাদের (বাপের) বাড়িতে চলে আসে।
তিনি বলেন, হাফিজার কাছে মোবাইল ফোনে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পাশপাশি হাফিজাকে অপবাদ দিয়ে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল তারা। তাদের মানসিক নির্যাতনে হাফিজা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
হাফিজার বাবা আরো বলেন, বাহরাইন প্রবাসী স্বামী রুবেল রোববার দিবাগত রাতে কয়েকবার হাফিজাকে টেলিফোনে বিভিন্ন ধরনের অপবাদ দেয়। অপবাদ সইতে না পেরে রোববার গভীর রাতে হাফিজা স্বামীর কাছে চিরকুট লিখে বাপের বাড়ির পুকুর পাড়ের বকুল গাছের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মাহিলাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, সোমবার ভোরে স্বজনরা হাফিজার লাশ গাছের সাথে ঝুলতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
সৈকত গুহ পিকলু জানান, রুবেল ও হাফিজাকে নিয়ে তিনি একাধিকবার সালিশ বৈঠকও করেছেন।
গৌরনদী মডেল থানর এসআই মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ ব্যাপারে হাফিজার মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে সোমবার সকালে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।