খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি শোকার্ত ও বেদনাহত চিত্তে আ স ম হান্নান শাহকে চিরবিদায় জানাচ্ছি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং আমার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহকর্মী ও সহযোদ্ধা আ স ম হান্নান শাহর ইন্তেকালের দুঃসংবাদ আমার কাছে অকল্পনীয় ও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।’
হান্নান শাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন—এমন প্রার্থনার মধ্যেই তার মৃত্যুসংবাদ এসেছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘এ বেদনা ও শোকের পরিমাপ নেই।’
বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশ-জাতির প্রতিটি প্রয়োজনের মুহূর্তে তিনি (হান্নান শাহ) অসম সাহস ও দেশপ্রেমে দীপ্ত হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আজীবন তিনি যোদ্ধা সেনানায়কের ভূমিকাই পালন করে গেছেন। জাতীয় জীবনে বর্তমান ক্রান্তির সময়ে তাকে যখন খুব দরকার, সে সময় তিনি চিরতরে চলে গেলেন।’
হান্নান শাহর মৃত্যুতে শুধুই বিএনপিই নয়, বরং জাতি এক সাহসী সন্তানকে হারাল বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
শোকবাণীতে বলা হয়, ‘স্বৈরাচারবিরোধী নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের একজন অগ্রবর্তী সংগঠক হিসেবে, মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের অবৈধ সরকারবিরোধী সংগ্রাম সূচনাকারী একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে মরহুম হান্নান শাহ আমাদের অনেক স্মৃতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তার ভূমিকা ও অবদান ইতিহাসে চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।’
হান্নান শাহর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া। সেইসঙ্গে তার শোকাহত স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি। দলের এই জ্যেষ্ঠ নেতার মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।