Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

32খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউপি’র চকাদিন হিন্দুপাড়ার দিনমজুর শরিফুল ইসলামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মোছা: মুহিনি আক্তার (৮) আট বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রতিবন্ধী ভাতা বা সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা তার ভাগ্যে জোটেনি। তাই প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অসহায় জীবন-যাপন করতে হচ্ছে এই পরিবারকে।

মুহিনির দাদী শরিফুন নেছা (৪৫) জানান, আমরা গরীব মানুষ। মুহিনির মা মানুষের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে দুবেলা-দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা করে। আমার ছেলে শরিফুল এক সময় ট্যাক্টর চালাতো কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার পর তার একটি পা অনেকটাই অকেজো হয়ে পড়লে সে এখন মাঝে মাঝে দিনমজুরের কাজ করে। প্রতিবন্ধী মুহিনি জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিন বোনের মধ্যে মুহিনি দ্বিতীয়। বড় বোন স্কুল শেষ করে মায়ের সঙ্গে মানুষের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে মাকে সহায়তা করে। মুহিনির দাদা লোকমান হোসেন প্রামাণিক বেঁচে থাকতে সাধ্য মতো চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর আমাদের সংসার চালানোই অনেকটা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু মুহিনি আজ পর্যন্ত কোন প্রতিবন্ধি ভাতা বা সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা পায়নি। কত চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ধর্না দিয়েছি কিন্তু আমার এই প্রতিবন্ধী নাতীর কপালে আজ পর্যন্ত ভাতা জুটলো না। মুহিনি শুধু শুয়ে থাকতে পারে। কোন কথা বলতে পারে না। সে দাঁড়াতে কিংবা হাটতে এমন কি বসে থাকতেও পারে না। তার উন্নত চিকিৎসা করার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন যা আমাদের মতো গরীব মানুষের পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই কোন প্রতিবন্ধী ভাতা পেলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো। সরকার নাকি প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তাহলে আমরা কেন পাই না বাবা। কিছু সুবিধা পেলে অন্তত মুহিনির জন্য ভালো খাবার কিংবা ভালো পোষাকের একটু ব্যবস্থা হতো। আমরা দিন আনি দিন খাই তাই মুহিনির জন্য ভালো কোন কিছুর ব্যবস্থা করাও আমাদের পক্ষে সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: মোকলেছুর রহমান বাবু জানান, পরবর্তিতে কোন সুযোগ-সুবিধা এলে মুহিনিকে তা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।