খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: ফাস্ট ফুডের নামে তরুনরা যা খাচ্ছে সব কিছু জাঙ্ক ফুড এবং অনিরাপদ। আর সে কারনে কোমলমতি শিশুরা লেখাপড়ায় অমনযোগী, অরুচিতে ভোগছে। ফলে তরুন প্রজন্মের অধিকাংশ শিশুরাই অপুষ্ঠির শিকার হচ্ছে।
বাজারে ফাস্ট ফুডের নামে যা তারা গ্রহন করছে এ গুলোর কারনে তাদের ক্ষিদা নষ্ট হচ্ছে, অরুচি হচ্ছে, অমনযোগী হয়ে যাচ্ছে, যার সর্বশেষ পরিনতি হচ্ছে বখাটে হচ্ছে, পিতা-মাতা ও শিক্ষকা/শিক্ষিকাদের অবাধ্য হচ্ছে এবং পুরো জাতি একটি মেধাবিহীন আগামী প্রজন্ম পাচ্ছে। যার কারনে একটি মহল মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জঙ্গিসহ বিপথগামীতে ধাবিত করছে। তাই তরুন প্রজন্মকে এ সমস্ত জাতি বিধ্বংসী অপরাধী কর্মকান্ড থেকে বাঁচাতে ফাস্ট ফুড ও জাঙ্কফুডের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গতে তুলতে হবে। তা না হলে আগামী প্রজন্ম অকর্মক্ষম, মেধাবিহীন জাতি পাবে।
যার খেসারত পুরো জাতিকে বহন করতে হবে। কারন ফাস্ট ফুডের নামে জাঙ্কফুড, ভেজাল খাবারের কারনে স্থুলাকার, খিটকিটে মেজাজ, ক্যান্সার, কিডনী, বহুমুত্র, মুত্রনালির সমস্যা, জন্ডিস, হাপানী, গ্যাস্টিক সহ নানা রোধে অধিকাংশ লোকজনই আক্রান্ত। ২৭ সেপ্টেম্বর ’১৬ এপ্রিল নগরীর বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে প্রচারনা কর্মসুচির উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিতা সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রচারনা কর্মসুচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব বাকলিয়া থানা সভাপতি এএম তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালণায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।
আলোচনায় অংশনেন ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব নেতা আবু ইউনুস, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি ও যুব সংগঠক চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, বাকলিয়া পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, বকলিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের দিবা শাখার ইনচার্জ মাহমুদ উল্লাহ প্রমুখ। ক্যাব ডিপিও শম্পা কে নাহার ও জহুরুল ইসলাম সভায় মুল প্রতিপাদ্য বিষয় মাল্টিমিডয়া উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন।
বক্তাগন বলেন দেশে খাদ্য, পণ্য যা-ই বাজারে ভোক্তাদের কাছে আসছে সবকিছুতেই নকল, ভেজালের ছড়াছড়ি।
নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যে ভেজাল, মাছ মাংশে বিভিন্ন ক্যামিকেল ও ফরমালিন মিশ্রণ, ক্যামিকেল দিয়ে ফলমুল পাকানোসহ মানব বিধ্বংসী কর্মকান্ড চলমান থাকলেও সমাজের একটি বড় অংশ নিরব। খাদ্যে ভেজালের কারনে অকালে ক্যান্সার, কিডনী বিকল, স্থুল স্বাস্থ্য, হ্দৃরোগ, মুত্রনালি ও পাকস্থলীর পীড়াসহ নানা রকমের মানব ঘাতক রোগে পুরো জাতি যেন রোগাক্রান্ত। আর জাঙ্ক ফুডের নামে নানা রকম ফাস্ট ফুডের কারনে মেধাহীন আগামী প্রজন্ম তৈরী হচ্ছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বদলৌতে বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষই এখন নকল ও ভেজালের এ সমস্ত খবর সর্বত্র জানছে।
তবে খাদ্যে ভেজালকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে সংগঠিত ও শক্তিশালী সিন্ডিকেট সেভাবে ভোক্তারা সংগঠিত নয় বিধায় এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে জনগনের পকেট কাটছে। আর ছাত্র ও যুব সমাজকে দেশ ও জাতিগঠনমুলক কাজের পাশাপাশি খাদ্য, পণ্যে নকল, ভেজাল, গ্রাহক হয়রানি, প্রতারনা, নিরাপদ খাদ্য, মাছ মাংশে ফরমালিন মিশ্রণ এবং ক্যামিকেল দিয়ে ফলমুল পাকানো বন্ধে সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা গেলে জাতির সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।
তখন সংগঠিত ছাত্র ও যুব সমাজই তখন রুখবে খাদ্যে ভেজাল, মাছ মাংশে ফরমালিন মিশ্রণ, নকল ভেজাল এবং ক্যামিকেল দিয়ে ফলমুল পাকানোসহ মানব বিধ্বংসী কর্মকান্ড। তাই এখন সময় এসেছে জেগে উঠার এবং তৃনমুল পর্যায়সহ সকল স্তরে অনিরাপদ খাদ্য, ফাস্ট ফুডের নামে জাঙ্ক ফুড, নকল, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে কঠিন সামাজিক প্রতিরোধ ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা।
স্কুল ও কলেজে ছাত্র/ছাত্রীদেরকে বাসায় তৈরী টিফিন প্রদানে অভ্যস্ত করার উপর গুরুত্ব প্রদান করে বক্তারা বলেন মায়ের তৈরী টিফিনে থাকে মমতা ও ভালবাসা, আর বাজারের তৈরী খাবারে থাকে ব্যবসায়ীদের লাভের মানসিকতা। আর টিফিনের নামে স্কুল ও কলেজ এলাকায় ধুলাবালি, নোংরা, খোলা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী খোলা খাবার বিক্রির অশুভ প্রতিযোগিতা। আর এর প্রধান শিকার হচ্ছ কোমলমতি শিশুরা।
ফলে শিশুরা এসমস্ত অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ, অমনযোগেী, মেধাহীন এবং বখাটে হয়ে যাচ্ছে। বক্তাগন বলেন ক্যাব এর ভেজাল বিরোধী আন্দোলন দেশ ও জাতিকে ধ্বংস থেকে বাঁচানোর সামাজিক আন্দোলন। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে দল মত ও বিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠে নিরব ঘাতক খাদ্যে ভেজাল, নকল ও ওজনে কারচুপি, হয়রানি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তৃণমুল পর্যায়ে গণসচেতনতা সৃষ্ঠির জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।