খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৬ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন-
“তথ্য জানার অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি তথ্য কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
তথ্যই শক্তি, সঠিক তথ্য অমূল্য সম্পদ। সহজে ও সুলভে সঠিক তথ্য প্রাপ্তি প্রত্যেক মানুষের নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তথ্য মানুষকে সর্বদাই সচেতন করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। তথ্য জানার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকার জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। তথ্যের অবাধ প্রবাহ যেমন নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক, তেমনি তা সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়নকে প্রতিষ্ঠা করে। জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েই সরকার ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য কমিশন গঠন করেছে। ফলে জনগণ সহজেই প্রায় সব তথ্য সম্পর্কেই জানতে পারছেন এবং তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের তথ্য অধিকার ও তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকার প্রশংসনীয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি নতুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও ও কমিউনিটি রেডিও এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
তথ্য অধিকার আইনের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছেন এবং দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। আমি আশা করি এর মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকা-ে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও গতিশীল হচ্ছে।
‘তথ্য অধিকার দিবস, ২০১৬’ পালনের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তি সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পাবে, দেশে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হবে এবং জনগণের ক্ষমতায়ন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
আমি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস, ২০১৬’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা
কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”