Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

hasina-12-9-2015খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৬’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন-
“জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘তথ্য পেলে মুক্তি মেলে-সোনার বাংলার স্বপ্ন ফলে।’

গণতান্ত্রিক অধিকার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়নে তথ্য একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। জনগণের এ অধিকারকে সম্মান দিয়ে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী আমরা নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ পাস করি। এই আইনের আওতায় তথ্য কমিশন গঠন করা হয়। ফলে জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরও বিস্তৃত করতে আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছি। এছাড়া বেসরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও। ফলে তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। সংসদ টেলিভিশন চালুর ফলে গণমানুষের কাছে সংসদের কার্যক্রম সরাসরি পৌঁছানো অত্যন্ত সহজ হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।

তথ্য অধিকারের ব্যাপক প্রসার ও প্রয়োগে ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। আমরা দেশের সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের প্রায় ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করেছি। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে নিজস্ব ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ হ্রাসের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এরফলে তথ্যপ্রাপ্তির সকল সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আমাদের প্রত্যাশিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন অনেক দূর এগিয়েছে।

আমি আশা করি, তথ্য অধিকার আইনের অধিকতর ব্যবহার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মাধ্যমেই জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র ও সুশাসন আরও সুদৃঢ় হবে।

আমি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”