মঙ্গলবার এনবিআরের সভাকক্ষে রাজস্ব কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘অডিট ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক আবুল ফয়েজ মো. আবিদ বক্তব্য রাখেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়নের অক্সিজেন হলো রাজস্ব। জনগণ রাষ্ট্রের রাজস্ব ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য রাজস্ব প্রদান করেন। তাই তাদের প্রদেয় রাজস্ব যেন সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে জমা পড়ে এ জন্য আমরা অডিট বিভাগের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছি।এ প্রক্রিয়ার ফলে সরকারি অর্থ ব্যয়ের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কাংক্ষিত রাজস্ব সংগ্রহ এবং করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারিত হবার সঙ্গে সঙ্গে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাটের দপ্তরসমূহে অডিট আপত্তির সংখ্যাও বেড়েছে। তবে রাজস্ব কর্মকর্তাদের অডিট সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে অডিট আপত্তির সংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি বিদ্যমান আপত্তিসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন অত্যন্ত ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে রাজস্ব সংগ্রহের কাজে গতিশীলতা আসবে।পাশাপাশি অহেতুক অডিট আপত্তি পরিহার করে সৃষ্টি হবে করদাতাবান্ধব পরিবেশ।
উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক আবুল ফয়েজ মো. আবিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন,অডিট বিভাগ ও এনবিআর সরকারের আর্থিক সেক্টরে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।এই দুই সংস্থার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হলে, রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সহজ হবে।
কর্মশালায় এনবিআরের সদস্যবর্গসহ আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের অডিট ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
