খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপি সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।
“কী কারণে তারা এটা দিচ্ছে না, সেটা বোধ হয় এখানে বলা উচিত হবে না। তবে আমি অবশ্যই কারণটা রাজনৈতিক বলে মনে করি।”
জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ডিউটি ফ্রি কোটা ফ্রি সুবিধা দেয় না। এছাড়া তারা যে জিএসপি সুবিধা দিত সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে।
“জিএসপি সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছিল আমরা সবগুলো শর্তই পূরণ করেছি। এখন আর কোনো শর্তই বাকি নেই। দুভার্গ্য হচ্ছে শর্তপূরণের পরও আমরা জিএসপি সুবিধা এখনও পাইনি।”
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও পরের বছর রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংগঠন ‘আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএল-সিআইও) এর আবেদনে ২০১৩ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়।
এর আগে পর্যন্ত ‘জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেসের (জিএসপি)’ আওতায় বাংলাদেশ পাঁচ হাজার ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানি করতে পারত।
মো. আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আইন ও বিধিমালার শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কোনো এমএলএম কোম্পানির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। অবৈধভাবে এমএলএম (মাল্টি লেভেল মাকেটিং) ব্যবসা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর-৩ আসনের সাংসদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে গত সাড়ে সাত বছরে গড়ে দ্রব্যমূল্য ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ বাড়ার হার ছিল মাত্র ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
রোয়ানুতে ক্ষতি ১১২৭ কোটি টাকার
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, গত ২২ মে রোয়ানুর আঘাতে সাত জেলার ২৭ জন নিহত হয়েছে। এসময় ১১ জেলায় ১১২৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৪ টাকার ক্ষয়্ক্ষতি হয়েছে।