খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : পণ্য এবং যান ও যাত্রীজটের নগরিতে পরিনত হয়েছে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। ঢাকা-বেনাপোল কলিকাতা মহাসড়কের বন্দর এলাকা ভয়াবহ যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকছে দুর পাল্লার পরিবহন সহ আমদানি রফতানিবাহি ট্রাক। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন পাসপোর্ট যাত্রীসহ পথচারিরা। স্কুল কলেজ পড়ুা ছাত্রছাত্রী রোগী ও প্রশাসনের গাড়ী আটকে থাকছে যানজটে। রাস্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা রোদের মধ্যে পায়ে হেটে ফিরছেন বাড়ীতে।
বেনাপোল বন্দর এলাকায় ট্রাফিক ব্যাবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। নাইট গার্ড সদস্যরা যানজট নিরসনে দিন রাত কাজ করে গেলেও প্রশাসনের সদস্যদের ট্রাফিক ব্যাবস্থা চোখে পড়েনা। বিঘ্ন ঘটছে পন্য পরিবহনে। এদিকে শারদীয় দুর্গাউৎসব উপলক্ষে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বেড়েছে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত। চেকপোষ্ট নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় সরকারি ছুটিদিনেও ছিল পাসপোর্ট যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। বাড়ছে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। যানজট ও যাত্রী দুর্ভোগ নিয়মে পরিনত হয়েছে বেনাপোলে-নির্বািক প্রশাসন।
স্থানীয়রা যুবক রুবেল হোসেন ও আব্দুল আহাদ বলেন বেনাপোলে কোন অভিভাবক নেই। নেই বাস ও ট্রাক টার্মিনাল্। সরকার বছরে বন্দর থেকে সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও বেনাপোল বাসির জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ঘটেনি। দিন দিন বাড়ছে যানজট। ঘটছে দুর্ঘটনা। জীবন হারাচ্ছেন মানুষ। সরকারের সহযোগিতা চান তারা।
পাসপোর্ট যাত্রী সহ স্থানীয়রা জানান,কতিপয় অসাধু সদস্যদের দুর্নীতির কারনে বাড়ছে লাইন। হযরানি ও লাঞ্চিচ হচ্ছেন তারা। বাড়ছে দুর্ভোগ্ পুলিশ কর্মকর্তার কাছেবলেও কোন ফল হয়না বলে জানান তারা।
ইমিগ্রেশন ও সি একবাল মাহমুদ বলেন,সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত যাত্রী সেবাই কাজ করছেন তারা। তবে ওপারের কাষ্টম ইমিগ্রেশন সদস্যদের ধীর গতির কারনে যাত্রীদের লাইন বাড়ছে। পুলিশ অফিসাররা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রতি রাখেন বিশেষ দৃস্টি। বহিরাগতদের প্রবেশে নেওয়া হয়েছে কড়া অবস্থান। তবে পুজা উপলক্ষে যাত্রী গমনাগমন বেড়েছে গত তিন দিনে ২২হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছে ।
বেনাপোল সিএন্ডএন্ড্ এজেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন- বিষয়টি নিয়ে বন্দর কাষ্টম ব্যাবসায়ি সহ বন্দর ব্যাবহারকারি সংগঠনের নেতাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোন ফল হযনি। বেনাপোলে আন্তর্জাতিক মানের ট্রাক টার্মিনাল নির্মান প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান,বেনাপোল চেকপোষ্টে ছোট আকারের বাস টার্মিনাল থাকলেও দুর পাল্লার বাস থাকে সড়কে। ফাকা থাকে টার্মিনাল্ একে করে সীমান্ত এলাকায় পরিবহন জট বাড়ে বলে জানান তারা।
বেনাপোল বন্দর সহকারি পরিচালক অব্দুল জলিল বলেন,বন্দর এলাকার যানজট নিরসনে কাজ করছেন তারা। শুক্রবার ছুটির দিনে ভারতীয় খালিট্রাক ফেরৎ যাওয়ায় চেকপোষ্ট এলাকায় মহাসড়কের উপর দাড়িয়ে থাকে খালি ট্রাক। ট্রাক টার্মিনাল নির্মান হলে জট কমবে বলে দাবী করেন তিনি। খবর এনবিএসের