খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়িকে এসিড ছুড়ে ঝলসে দেয়ার দায়ে সিএনজি ট্যাক্সিচালক জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানী ঢাকার রূপনগর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা এনবিএসকে জানান, কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দলকে রংপুরের মিঠাপুকুর থানা এলাকায় পাঠানো হয়। ওই টিমটি জাহাঙ্গীরের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পারে জাহাঙ্গীরের এক ভাই আশরাফ রাজধানীর রূপনগর থানার মিল্কভিটা এলাকায় টেইলারিং শপ দিয়েছে। জাহাঙ্গীর সেখানেই আত্মগোপন করে আছে বলে পুলিশ জানতে পারে। এরপর দ্রুত রূপনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের আরেকটি দলকে রংপুরের রূপনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে যৌথ অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। মিঠাপুকুর থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশের দলটি রূপনগর থানায় পৌঁছলে সেখান থেকে আসামিকে নিয়ে পুলিশের দল দুইটি একসঙ্গে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোরে নগরীর সিআরবি এলাকার একটি বস্তিতে জাহাঙ্গীরের ছোড়া এসিডে শেলির মুখমন্ডলসহ শরীরের ১৫ শতাংশ এবং তার মায়ের ১০ শতাংশ ঝলসে যায়। এরপর তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে।
কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা এনবিএসকে আরো জানান ,বাবুল মিয়ার মেয়ে শেলির সঙ্গে স্বামী অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীরের ছাড়াছাড়ি হয়েছিল বছরখানেক আগে। এরপর শেলি পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের সামনে একটি টং দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন। শেলি তার মাকে নিয়ে পাশের একটি বস্তিতে থাকতেন। একই এলাকায় থাকার সুবাদে জাহাঙ্গীর তাকে উত্যক্ত করত এবং পুনরায় বিয়ের চাপ দিচ্ছিল পরিবারটির ওপর। কিন্তু শেলি ও তার পরিবার রাজি হচ্ছিল না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়েছিল আগের দিন। এর জের ধরে সোমবার সকালে এসিড ছোড়ার ঘটনা ঘটে।