Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখোলা বাজার২৪, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬ : বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরে দক্ষ শ্রমিক নেবে সিঙ্গাপুরের ভারসাগি ম্যানেজমেন্টস নামক প্রতিষ্ঠান। আর নিয়ম মেনে ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রমিকরা সিঙ্গাপুর গেলে অভিবাসন ব্যয় এখনকার চেয়ে অর্ধেকে নেমে আসবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকেও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিঙ্গাপুরের ভারসাগি ম্যানেজমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিক্টর লি এসব কথা বলেন। আনঅথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি বা ব্যক্তির ভিসা ট্রেডিংয়ের কারণে সিঙ্গাপুরে অভিবাসন ব্যয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
অভিবাসন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থান বাড়ানোই ভারসাগির লক্ষ্য উল্লেখ করে ভিক্টর লি বলেন, এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ভিসা ট্রেডার বা আনঅথরাইজড এজেন্সি ও মধ্যস্বত্বভোগিদের অনৈতিক ব্যবসা বা কর্মতৎপরতা হতে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রস্তাবনার মধ্যে যেসব বিষয়ে কথা তিনি বলেন তা হলো, সরকারের নিয়ন্ত্রণে একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা হবে, যেখানে সিঙ্গাপুরগামী সকল কর্মী এবং রিক্রুটিং লাইসেন্সধারীগণ তাদের কর্মীগণের নাম লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। যা সিঙ্গাপুরের সকল কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং তারা নিজস্ব প্রয়োজন মাফিক অর্ডার নিশ্চিত করতে পারবে। এ পদ্ধতিতে সরকার একটি ফি নির্ধারণ করে দেবে। এটা করলে বর্তমান খরচের চেয়ে অভিবাসন খরচ ৫০ শতাংশ কমে যাবে।
১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০ হাজারের বেশি কর্মীর সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে উল্লেখ করেন ভিক্টর লি।
তিনি বলেন, আনঅথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি বা ব্যক্তির ভিসা ট্রেডিংয়ের কারণে সিঙ্গাপুরে অভিবাসন ব্যয় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশের একজন শ্রমিককে এখন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে যেতে হচ্ছে। ওই শ্রমিকে বিপুল পরিমাণ এই অভিবাসন ব্যয় উঠাতে প্রায় ৩ বছর কাজ করতে হয়। আবার কাউকে যদি এক বছর পর ফিরে আসতে হয়, সেক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যয়বাবদ বিনিয়োগকৃত অর্থের বড় একটি অংশ তাকে হারাতে হয়। তিনি বিপুল অংকের এ টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুরে অভিবাসী হওয়ার স্বপ্ন অনেকের অধরা থেকে যাচ্ছে। এ খরচের কারণেই অভিবাসনগামী বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যাও দিন দিন কমে আসছে। ২ বছর আগেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে সিঙ্গাপুর অভিগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার। এখন তা কমে ৫’শ তে গিয়ে ঠেকেছে।