খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬ : পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নে আমলাহার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওই কলেজের প্রায় ৪০ টি মূল্যবান মেহগনি গাছ কেটে সাবার করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হলে রাতারাতি গাছগুলো বিক্রির সুযোগ না পেয়ে ওই অধ্যক্ষ গাছগুলো কলেজ মাঠেই ফেলে রাখেন।
সেই সাথে কলেজ সংলগ্ন ইউনিয়ন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তার কোয়ার্টারের সীমানার ভিতরের গাছও কাটা হয়েছে ওই অধ্যক্ষের নির্দেশে ।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বিক্রির উদ্দেশ্যে গোপনে আমলাহার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোবারক হোসেন রাতের অন্ধকারে লোকজন দিয়ে গাছগুলো কাটেন। সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে ওই অধ্যক্ষের লোকজন গাছগুলো কলেজ মাঠে ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে গাছগুলো ওই কলেজ মাঠেই রয়েছে। তবে এর মধ্যেই ওই অধ্যক্ষ কৌশলে কলেজের ফার্নিচার তৈরির জন্য কথিত রেজুলেশন তৈরি করেন। এ ঘটনায় ওই কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব কোন কিছুর তোয়ক্কা নাকরেই গায়ের জোড়ে গাছগুলো কেটেছেন। এছাড়াও তিনি উপবৃত্তি দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষর্থীর কাছে ২২০ টাকা করে নিয়েছেন বলে জানান।
মাগুরা ইউনিয়নের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার শর্মা বলেন, ওই অধ্যক্ষ কোয়ার্টারের সীমানার ভিতরের গাছ কেটে ফেলায় আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
কলেজের গভর্ণিং বডির নব নির্বাচিত সদস্য আব্দুস সাত্তার ও হাসিনুর রহমান বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে পঞ্চগড়ের সাবেক জেলা প্রশাসকের কাছে ভবন নির্মাণের কথা বলে কয়েকটি গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছিলেন ওই অধ্যক্ষ। এর পর থেকে আর কোন অনুমতি না নিয়েই পুরাতন অনুমতির অযুহাতে তিন দফায় মূলবান গাছগুলো কেটে সাবার করে ফেলেছেন তিনি। আমরা কমিটির লোক কিছুই জানি না। তারা বলেন, ওই অধ্যক্ষ্য এর আগেও উপাধ্যক্ষ নিয়োগেও মোটা অংকের টাকা নিয়েছিলেন এবং ওই বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাররে একটি আবেদনও করা হয়েছিল। এখন তিনি স্থানীয়দের কোন গুরুত্ব না দিয়ে গাছ কেটে সাবার করে ফেলেছেন। আমরা এই অধ্যক্ষের বিচার চাই।
আমলাহার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোবারক হোসেন জানান, আমি অনুমতি নিয়েই গাছ কেটেছি। তবে অনুমতির কোন কাগজ তিনি দেখাতে পারনেনি।
আমলাহার ডিগ্রী কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক আমল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, আমার জানামতে এই ধরনের কোন অনুমতি আমার মাধ্যমে দেওয়া হয়নি। তবে এর আগের কোন অনুমতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।