খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬ : রাজশাহীতে জিম্মিদশা থেকে এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আবদুর রহিম (৩৩) নামে ওই ব্যবসায়ীকে বাড়িতে ডেকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে মোবাইলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে দাবি করা হয়েছিল দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ। আবদুর রহিম জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম লোকমান আলী। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ডিঙাডোবা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতারকচক্রের এক নারীসহ চারজনকে আটকও করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, নগরীর ডিঙাডোবা এলাকার আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শোভা খাতুন (২৩), ভদ্রা এলাকার শহর আলীর ছেলে মো. জাহিদ (৩০), শিরোইল এলাকার খালেক মাতবরের ছেলে আকবর আলী (১৮) এবং একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে মো. ডলার (১৯)। রোববার বিকেলে ৫টায় র্যাব-৫ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের সবাইকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর স্কোয়াড্রন লীডার কেবিএম মোবাশ্বের রহিম জানান, স¤প্রতি প্রতারকচক্রের মূলহোতা শোভা খাতুনের সঙ্গে ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের মোবাইলে পরিচয় হয়। এরপর আবদুর রহিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শনিবার শোভা তাকে তার বাসায় ডাকেন। রহিম সরল বিশ্বাসে তার বাসায় যান। ওই বাসায় আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন জাহিদ, আকবর ও ডলার। তারা রহিমকে জোর করে ওই বাসায় আটকে রাখেন। এরপর তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে শোভা খাতুনের সঙ্গে মোবাইলে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা রহিমের ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে রহিমকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে রহিমের পরিবারের পক্ষ থেকে র্যাব-৫ এর কাছে একটি অভিযোগ করা হয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ এর রাজশাহী রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল শোভার বাসায় অভিযান চালিয়ে আবদুর রহিমকে উদ্ধার করে। এ সময় শোভাসহ ওই চারজনকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।