Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

41খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ : রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

আজ সোমবার সকালে এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, যেখানে ভারতের আইনে বলা আছে যে, রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারবে না, সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের পাশে কিভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়? এ ব্যাপারে অনেকেই তো রামপালের পক্ষে অনেক কথা বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীসহ কারো মুখে তো এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে এই গোলটেবিলের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব)। অনুষ্ঠানে ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র: কারিগরি, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ত্রিমাত্রিক বিপত্তি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ন হ আখতার হোসেন।
আসিফ নজরুল বলেন, যদি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফলে সংরক্ষিত এলাকা বা বনাঞ্চলের কোনো ক্ষতি নাই হয় তবে ভারতে গত জুন মাসে কেনো চারটি বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হলো? যদি ভারতেই বিদ্যুৎকেন্দ্র না হতে পারে তাহলে বাংলাদেশে কিভাবে হয়?
তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বলাই যদি ভারতবিরোধী হয় তবে ক্ষমতাসীন কয়েকজন ছাড়া সুলতানা কামাল, খুশি কবিরসহ বাংলাদেশের সবাই ভারতবিরোধী। আসলে যারা রামপালের পক্ষে কথা বলেন, তারা দেশ নিয়ে ভাবেন না। নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মকে বিদেশে রাখার চিন্তা করেন। বিদেশী ব্যাংকগুলোতে বহু টাকা তারা জমা করে থাকেন।
রামপাল নিয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারেন আর নাই পারেন, এই মুহূর্তে ভারতের দালাল হওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনারা দেশের জনগণের পক্ষে থাকবেন।
রামপালের সম্ভাব্য ক্ষতির দিক তুলে ধরে আসিফ নজরুল আরো বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। সুন্দরবনের ক্ষতি তো হবেই উপরন্তু সেখানকার নদীগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হবে।
আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া গণস্বাস্থ্যেও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক নেতা রহুল আমীন গাজী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরি এস ইসলাম, ড. সুকোমল বড়–য়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, শিক্ষা সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।