খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ : দুই সপ্তাহের চলমান উত্তেজনার পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে ফোনালাপ হয়েছে। আলোচনার পর সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষই।
আজ সোমবার সকালে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে আলাপ হয় হয়। ফোনে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন ভারত-পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও নাসির জানজুয়া। আর তাঁদের আলোচনার পরপরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ জানান, সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষই।
সারতাজ আজিজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের পরই দুই সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধাবস্থার বিষয়ে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা কথা বলেন। এর আগে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সংকট নিরসনের আভাস দিয়েছিলেন। এক অনুষ্ঠানে মোদি বলেছিলেন, ‘ভারত কখনোই কারো ভূখণ্ডে আক্রমণ করেনি।’
সারতাজ আজিজ অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান যখন উত্তেজনা কমাতে কাজ করছে, তখন ভারত যেন অন্য কিছু চাইছে। তবে সীমান্তের এই উত্তেজনা কোনো দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না বলে উল্লেখ করেন আজিজ। তিনি সর্বশেষ জাতিসংঘের সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন।
যেখানে নওয়াজ বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনা থেকেই যাবে। আজিজ জানান, এ কথার মধ্য দিয়ে নওয়াজ বুঝিয়েছিলেন, সীমান্ত নিয়েই ভারত-পাকিস্তানের যত দ্বন্দ্ব। আর তাই সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হলে এ উত্তেজনা শেষ হবে না।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৯ সেনা নিহতের পর পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনারা। এরপর সীমান্তে পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় সেনা বন্দির খবর আর সর্বশেষ রোববার রাতে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে আবার জঙ্গি হানা—সব মিলিয়ে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনে প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো প্রতিবেশী দেশ দুটিকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিল।