Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
 index
খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬ : ফাস্টফুড কম-বেশি সকলের প্রিয়। বিশেষ করে শিশু ও ছেলে-মেয়েদের ফাস্টফুডের প্রতি রয়েছে এক ধরনের বিশেষ দুর্বলতা। কিন্তু বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন যারা নিয়মিত ফাস্টফুড আহার করেন তাদের মাইন্ড এন্ড মুডের ওপর নানা বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর এই নিয়ে আমাদের আজকের হেলথ টিপস।
১. কানাডিয়ান গবেষকগণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখেছেন যারা অতিমাত্রায় ফাস্টফুড আহার করেন তাদের মধ্যে চঞ্চলতা ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। ২. যারা নিয়মিত ফাস্টফুড আহার করেন তাদের আর্থিক সঞ্চয় কম হয়। যাদের বসতবাড়ি অথবা আবাসন স্থলের কাছে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট আছে তাদের মানিব্যাগ প্রায় শূন্য থাকে। ফলে এদের মস্তিষ্কের ওপর খানিকটা প্রভাব পড়ে। এমন অভিমত দিয়েছেন টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রটম্যান স্কুল অব ম্যানেজম্যান্টের সহযোগী অধ্যাপক ড: সানফোর্ড ডেভো। ৩. যারা অতিরিক্ত ফাস্টফুড আহার করেন তারা স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৫১ ভাগ অধিক মানসিক অবসাদে ভোগেন।
গবেষকগণ বলছেন, যারা বেশি পরিমাণ পিজা, বারগার ও ফ্রাইডফুড আহার করেন তাদের মানসিক চাপের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনশন রিসার্স সেন্টারের পরিচালক ড. ডেভিড ক্যাটজ মনে করেন যত বেশি ফাস্টফুড আহার করা হবে তার তত বেশি মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন হবে। ৪. ফাস্টফুডের আর একটি সমস্যা হচ্ছে অতিদ্রুত অধিক আহার করা হয়। এতে অধিক ক্যালরি জমা হয়। ৫. ফাস্টফুডের মাত্রাতিরিক্ত সুগার মস্তিষ্কের জন্য হিতকর নয়। যেমন: ম্যান্ডারিন চিকেন সালাদে ৩৩ গ্রাম পর্যন্ত সুগার মিশানো হয়। একইভাবে ম্যাকডোনাল্ডস এশিয়ান সালাদ ও অন্য অনেক ফাস্টফুডে অতিরিক্ত চিনি মিশানো হয়। আর এই অতিরিক্ত চিনি আহার মস্তিষ্কের জন্য হিতকর নয়। ৬. ইয়েল রুড সেন্টার ফর ফুড পলিসি এন্ড ওবেসিটি-এর তথ্য মতে বছরে শুধু ফাস্টফুডের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। আর রুড সেন্টারের মার্কেটিং বিভাগের ড:জেনিফার এল হ্যারিস-এর মতে শিশু-কিশোররা দৈনিক ফাস্টফুডের এসব বিজ্ঞাপন দেখে। আর অনেক ক্ষেত্রে থাকে পুরস্কারের প্রচারণা।
গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের রিওয়ার্ড সেন্টারে ফাস্টফুডের অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখার কারণে মস্তিষ্ক  অপ্রয়োজনীয়ভাবে উজ্জীবিত হয়। তাই বিশেষজ্ঞগণ অতিরিক্ত ফাস্টফুড আহার না করার পক্ষে মত দিয়েছেন।