খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬: পাকিস্তান আমাদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এখন চিমটি মারছে। আমাদের প্রতিক্রিয়া জেনে পাকিস্তান একাত্তরের চাইতেও বড় থাবা মারবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কর্তৃক আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিরোধে যুব সমাজের করণীয় শীর্ষক’ আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, একাত্তরে পরাজিত হয়ে পাকিস্তান বসে নেই, ষড়যন্ত্র করছে। তাই তাদের ষড়যন্ত্রের এজেন্টদের বিচার করায় তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য চিমটি কাটছে সামনে বড় থাবা মারার জন্য।
একাত্তরের শকুনের থাবার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তান এবং তাদের সহযোগী বিএনপি, জামায়াতের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে বলেও মন্তব্য করেন শাজাহান খান।
‘আমি বলতে চাই, পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি, এখন এদেশে তাদের অনুসারিদেরও বিচার করা হবে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’।
বিএনপিকে পাকিস্তানের অনুসারি মন্তব্য করে মন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে গেছে একথা ভেবে নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা ৭১ ভুলি নাই, ২০১৩, ১৪, ১৫ ভুলি নাই। পাকিস্তানের অনুসারি হয়ে যারা পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার আমরা করবো।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি কিন্তু আমরা যুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতির পাওনা বুঝে পায়নি। সেজন্য আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যাকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার যে বিল সংসদে পাশ হয়েছে তাতে জনগণের আসার প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান, জামায়াত, বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। ইতোমধ্যেই আমরা জঙ্গি নির্মূলে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ভুল চিন্তা চেতনার জন্যেই তারা আজ একা হয়ে যাচ্ছে, সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ অনেক দেশই যাবেন না। বিশ্বের অন্যান্য দেশও পাকিস্তান থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
একাত্তরের পর বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশে খাদ্য রপ্তানি করছে আর পাকিস্তান সন্ত্রাস রপ্তানি করছে বলে জানান শাজাহান খান।
নজরুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া, কবির আহম্মেদ খান, আমির হোসেন মোল্লা, খন্দকার মোদাচ্ছের আলী সহ প্রমুখ।