Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

52খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬: ইমরুল কায়েসের ৮১ বলের সেঞ্চুরি। ৯১ বলের ১২১ রান। মুশফিকুর রহিমের হঠাৎ খেলে ফেলে ৫১ রান। অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৪৬। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে আসা নাজমুল হোসেন শান্তর ৩৬। এসবের যোগ ফলে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে দারুণ এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিসিবি একাদশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে করেছে ৯ উইকেটে ৩০৯ রান। মূলত ইমরুলের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিই ফতুল্লায় স্বাগতিকদের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিল।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ সিরিজে টানা ৭৬ ও ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল। ২৯ বছরের ডান হাতি ওপেনার এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে করলেন ৩৭। কিন্তু দুর্ভাগ্য। পরের দুই ম্যাচে খেলানোই হল না তাকে! কষ্ট তো পেয়েছিলেন। একটু ধীরে খেলেন, এই দুর্নামটা ঝেড়ে ফেলতেই বুঝি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকে ইমরুল ছিলেন আগ্রাসী। তাতে কি হল দেখুন। মাত্র ৮১ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন। স্পিনারদের যেম ছক্কা হাঁকিয়েছেন তেমনই পেসারদের মেরেছেন। সেঞ্চুরির পরের শেষ ১০ বলে ২টি চার ও ছক্কা ইমরুলের। বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার ডেভিড উইলিকে তিন বলে দুই ছ্ক্কার মারার পরই বোল্ড হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। তখন তার নামের পাশে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা! এবার কি নির্বাচকরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোটা সিরিজেই ইমরুলকে না খেলিয়ে পারবেন!
২৮.৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেছেন ইমরুল। কিন্তু মনে হচ্ছে বিসিবি একাদশের ইনিংসটাই ইমরুলময়! সৌম্য সরকার আবার ব্যর্থ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ০, ২০ ও ১১ এর পর এই লাইফলাইনটা কাজে লাগাতে পারলেন না। ৭ রান করে ফিরেছেন। এরপর শান্তর সাথে ৮৫ রানের জুটি ইমরুলের। তরুণ পার্টনারকে গাইড করেছেন।
আফগানদের বিপক্ষে খেলার সময় কিপিংয়ের ভুলে সমালোচনায় পড়েন মুশফিক। নিজেকে আরো গুটিয়ে নেন। ব্যাটেও তেমন রান পাননি। সোমবার রাতে নির্বাচকদের জানালেন এই ম্যাচে খেলতে চান। ফতুল্লায় তাই চার নম্বরে মুশফিক। ইমরুলের সাথে তার জুটিটা ৭১ রানের। মানসিক চাপের মধ্যে থাকলেও কচ্ছপ হয়ে থাকেননি মুশফিক। ৫৪ বলে ফিফটি করেছিলেন ৫টি বাউন্ডারিতে। এই ম্যাচের অধিনায়ক নাসির হোসেনের সাথে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৫১ রানে।
ইমরুল ফিরেছিলেন ১৯১ রানের সময়। তখনো ৩০ ওভার হয়নি। বাকি ২০ ওভারে নেহাত খারাপ করেনি বিসিবি একাদশ। মুশফিকের পর নাসির ফিরেছেন ৪৬ রান করে। শেষের দিকে উইকেটও পড়েছে দ্রুত। নির্দিষ্ট করে বললে ২৮ রানে শেষ ৫ উইকেটের পতন হয়েছে। শেষ দশ ওভারে পড়েছে ৬ উইকেট। ইংল্যান্ডের বোলারদের মূল সাফল্য এই শেষেই। ক্রিস ওকস তিনটি এবং উইলি ও বেন স্টোকস দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সবাই পেসার। ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে ১ উইকেট লেগ স্পিনার আদিল রশিদের। এখন বিসিবি একাদশের বোলাররা চ্যালেঞ্জটা কিভাবে নেন তাই দেখার।