
খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬: খিদে কমে যাওয়ার অনেক রোগী দেখতে পাওয়া যায়। প্রায়ই এ সমস্যা নিয়ে রোগীরা চিকিত্সকের কাছে হাজির হন। বিভিন্ন কারণে খিদে কমে যেতে পারে। খিদে কমে গেলেই ডমপেরিডন বা সাইপ্রোহেপ্টিডিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। প্রথমে কারণ বের করার চেষ্টা করা উচিত। তারপর সে সমস্যার সমাধান করলে খিদে কমে যাওয়া ভাল হয়ে যাবে।
খিদে কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। এর মধ্যে আছে: ১. জন্ডিস ২. পেপটিক আলসার ৩. পাকস্থলীর ক্যান্সার ৪.কোষ্ঠকাঠিন্য ৫. জ্বর ৬. ধূমপান ৭. মানসিক রোগ যেমন অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা, ৮. দুশ্চিন্তা, অশান্তি, মানসিক অবসাদসহ বিভিন্ন ওষুধ যেমন ব্যথার ওষুধ, বিভিন্ন এন্টিডিপ্রেসেন্ট ইত্যাদি।
এছাড়া লিভারের অসুখ ও বিভিন্ন ক্যান্সার ইত্যাদি। তবে উপরোক্ত কারণ ছাড়ও খিদে কমতে পারে। খিদে কমে গেলে দ্রুত চিকিত্সকের কাছে যাওয়া উচিত। অবহেলা করা ঠিক নয়। নিজে নিজে বা কারো পরামর্শ শুনে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
চিকিত্সক ভালভাবে ইতিহাস নেবেন। শারীরিক পরীক্ষা করবেন। ল্যাবটেস্ট করতে দিবেন। তাহলে নিশ্চিত ভাবে খিদে কমার কারণ বের করা যাবে। যে কারণে খিদে কমে গেছে সে কারণ বের করে চিকিত্সা করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তবে খিদে কমে গেলে ঘি, মাখন, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, রিচ ফুড খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ধূমপান করা যাবেনা। চা-কফি পরিমিতি পরিমাণে খেতে হবে। মানসিক সমস্যার কারণে খিদে কমে গেলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফলমূলও শাকসব্জী প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীর ও মন ভাল থাকে। খিদে কমে যাওয়া সমস্যা হওনা। আশা করি সবাই সচেতন হবে। রোগ হলে দ্রুত চিকিত্সক দেখান। তাতে অনেক জটিল প্রতিরোধ করা যায়।