খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬:ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের প্রভাষক (ইংরেজি) ওসমাণ গণিকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রভাষক ওসমাণ গণি নিজে বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল হক,মাঠগাওঁ গ্রামের মৃত মান্নান মুন্সীর ছেলে (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ)নজরুল ইসলাম, আকিলপুর গ্রামের হানিফ উল্ল্যার ছেলে আছকির আলী,ভাংঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মোহাম্মদ আলী,রনভূমি গ্রামের মুজিবুল হকের ছেলে আব্দুল মান্নানকে আসামী করে জুডিশিয়াল ম্য্যাজিস্ট্রেট আদালত দোয়ারাবাজার জোনে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার সি আর নং ২৪০/১৬ ইং।
অভিযোগসূত্রে জানা যায় গত ২রা অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রভাষক ওসমান গণি মোটরসাইকেল নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে দোয়ারাবাজার হয়ে লক্ষীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার সড়ক দিয়ে চকবাজারস্থ নিজের বাড়ীতে যাচ্ছিলেন। এসময় বাংলাবাজারস্থ অস্থায়ী ইউপি অফিসের সামনে চেয়ারম্যান আমিরুল হকের নেতৃত্বে ওৎপেতে থাকা কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে । এ সময় হামলাকারীরা তার সাথে থাকা ব্যবহারকৃত মোটরসাইকেলটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । এ সময় স্থানীয় লোকজন ওসমান গণিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ফার্মেসী থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়ীতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী প্রভাষক ওসমান গণি সাংবাদিকদের জানান, আমি নির্বাচনী প্রতিহিংসার স্বীকার। আমার সহোদর বড়ভাই এম. আতাউর রহমান স্বপন বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আমিরুল হকের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করে পরাজিত হওয়ার পর থেকে আমিরুল হক ও তার দলের লোকেরা আমাদের পরিবার ও দলের লোকদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তিনি আরও বলেন, আমিরুল হকের লোকেরা বিভিন্ন নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে যদি আমি মামলা করি তাহলে আমি ও আমার ভাই এম. আতাউর রহমান স্বপনকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে দোয়ারা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান বিজ্ঞ আদালত থেকে এখনো মামলার কাগজ থানায় আসেনি। আসলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।