খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬: চট্টগ্রামের মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌন ২টার দিকে নবজাতকটি মারা যায়। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের ডা. রিদওয়ানা কাউসার তুষারের এ সন্তাটি মারা যায়।
সিএসসিআর হাসপাতালে সোমবার দিনগত রাত একটায় ডা. রিদওয়ানা কাউসার তুষার জন্ম দেন এক নবজাতক। তার দেহে প্রাণ থাকার পরও যথাযথ চিকিৎসাসেবা না দিয়ে জন্মের মাত্র দুই ঘণ্টা পর মৃত্যু সনদ দিয়ে একটি প্যাকেটে করে ওই নবজাতককে ৬১২ নম্বর ক্যাবিনে দিয়ে যায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। প্যাকেট খুলে বাচ্চার মুখ দেখতেই বিস্মিত হন ডা. রিদওয়ানা কাউসার তুষার।
তিনি দেখলেন তার বাচ্চা দিব্যি নড়াচড়া করছে। ততক্ষণে বাচ্চার শরীর খুবই ঠা-া হয়ে গেছে। পরিবর্তন আসে গায়ের রঙে। বিষয়টি দ্রুত হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের জানানো হয়। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এসময় বলা হয়, বাচ্চা নড়াচড়া করছে না গায়ের মাংস নড়ছে।
এই অবস্থায় প্রসূতি নিজেই বাচ্চাকে নিয়ে যান পাশের একটি চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে। হাসপাতালের ওয়ার্মারে দেয়ার পর শিশুটির অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু সেখানে বেড খালি না ম্যাক্স হাসপাতালে ওই বাচ্চাকে ভর্তি করা হয়।
এদিকে জীবিত নবজাতকে মৃত ঘোষণার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলমকে কমিটির প্রধান এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. অজয় কুমার দে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী শহিদুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
এরই মধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়। এসময় তিনি জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণার বিষয়টি তদন্তের জন্যে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটি তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে। এরপর দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।