খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৬: চীন বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক আজ দুই দেশের জনগনের সম্পর্কে পরিনত হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর মাস সে তুংয়ের নেতৃত্বে সফল বিপ্লবের পর পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ উপলক্ষে চীনের জনগণকে অভিনন্দন।
স্বাধীন বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির সঙ্গে আন্তরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক সবাই চেয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধ দেশটি সঙ্গত কারণেই এখন বাংলাদেশের বাণিজ্য ও উন্নয়নের প্রধান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে চীন বিপ্লবের ৬৭তম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, আফ্রো-এশিয়া লেটিন আমারিকার অবিসংবাধিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সে তুংয়ের আমন্ত্রণে চীন সফর করেন। মওলানা ভাসানী চীনা বিপ্লবের সাফল্যে চমৎকৃত হয়েছিলেন। তিনি দেশে-বিদেশে সফরকালে বারবার বলেছেন, চীনের কমিউনিস্ট তাদের দেশে জনকল্যাণে যা কিছু করছে, তার সঙ্গে ইসলামের সাম্য-মৈত্রীর বাণীর মিল রয়েছে।
তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বাংলাদেশে আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দুই দেশের রাজনৈতিক দর্শন ভিন্ন। ভাষা-সংস্কৃতিতেও বিস্তর পার্থক্য। তারপরও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিশ্বে রোল মডেল হয়ে আছে। কখনও তা ঝিমিয়ে পড়েনি। তিনি চীনের মহান নেতা মাও সেতুং ও বাংলাদেশের মহান নেতা মওলানা ভাসানীর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের সূচনা সেই পাকিস্তান আমল থেকেই। ১৯৬৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চীন বিপ্লব দিবসে মহান নেতা মওলানা ভাসানীর চীন সফর এবং চীনে সাত সপ্তাহ অবস্থানের মাধ্যমে এ সম্পর্কের সূচনা হয়। গত ৪ দশকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক কমরেড রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মোঃ কামরুজ্জামান রোকন, নারী নেত্রী বাসন্তি বরুয়া বাবলী প্রমুখ।