Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

index

খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৬: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন কামরুল ইসলাম শিকদার মুছাকে ধরিয়ে দিলে বা ধরিয়ে দিতে সহায়তা করলে পাঁচ লাখ টাকা দেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ।

সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।

মিতু হত্যার ঘটনায় পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে তাদের মধ্যে মোতালেব মিয়া ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন গত ২৬ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তারা এই ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেব মুছার নাম বলে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ মুছাকে পলাতক বললেও তার স্ত্রী পান্না আক্তার গত জুলাইয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে এই অভিযোগ স্বীকার করেনি পুলিশ। সকালের সংবাদ সম্মেলনেও এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, তারা মুসাকে গ্রেপ্তার করেনি।

গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডে অতর্কিত আক্রমণে নিহত হন মিতু। তাৎক্ষণিকভাবে একে জঙ্গি হামলা বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তে বাবুলের বেশ কয়েকজন সোর্সের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এই ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তারও করে। পরে তাদের দুই জন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মুছার নেতৃত্বে একটি দল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি্। মুছা নিজে থেকে এই কাজ করেছে না কি কারও নির্দেশে এ কাজ করেছে- তা জানার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা জরুরি।’

মিতু হত্যার ঘটনায় চাকরি হারিয়েছেন তার স্বামী বাবুল আক্তার। গত আগস্টে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর সেপ্টেম্বরে তা গৃহীত হয় এবং সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

তবে এর আগে বাবুল আক্তার তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনে তিনি লিখেন, স্বেচ্ছায় নয়, চাপে পড়ে তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তবে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক কোনো চাপ দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।