তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও গণতন্ত্রহীনতার কারনেই খাদিজার উপর নি:শংস হামলা হয়েছে। অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ার কারনে দেশে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসকাবে যুবদলের এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর আহমেদেও মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমানের দেশ একটি দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। কথা বলার কোনো স্বাধীনতা নেই। এখন দেশে কারো কারো কোন নিরাপত্তা নেই। আপনারা দেখেছেন কলেজ ছাত্রী খাদিজাকে ছাত্রলীগের এক নেতা কী নির্মমভাবে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে আহত করেছে। সে আজ জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এত জঘন্য মানসিকতা ছাত্রলীগের নেতাদেরই ধারণ করা সম্ভব হয়। কেননা তাদের ওপরে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের মতামত না নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গায়ের জোড়ে দেশ পরিচালনা করছেন। এ থেকে ছাত্র-যুবলীগের কর্মীরা সাহস পাচ্ছে যা ইচ্ছে তাই কওে যাচ্ছে। এ ধরণের স্বৈরাচারী সরকারের খাদিজা একটা উদাহরণ।
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া খাদিজার সঙ্গে মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীদের সেলফি তোলার সমালোচনা করে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার নিন্দা ও শাস্তি দাবি না করেও এভাবে সেলফি তোলার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মানসিকতা ফোটে উঠেছে। দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণেই এমন সব ঘটনা ঘটছে।
রুহুল কবির রিজভীসহ কারাবান্দি নেতাকর্মীদেও মুক্তি দাবি করে ড. মোশাররফ বলেন, তারা সবাই ছোট কারাগারে। আর দেশের মানুষ হচ্ছে একটি বৃহত্তর কারাগারে। এ থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।
পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের আলোচনা করে গঠন করতে হবে। পরবর্তী যে নির্বাচন হবে, সেটাও হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তা না হলে দেশে মানুষ মানবে না। সে নির্বাচনও হবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত।
রামপালে কয়লা ভিত্তিক ও রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের স্বার্থ বিরোধী বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, আমরাও বিদ্যুৎ চাই। তবে তা দেশে স্বার্থ মেনে চাই।
বিএনপিরএই নেতা বলেন, সরকার নিজেদের পাপে নড়বড় হয়ে গেছে। প্রয়োজন একটু ধাক্কা। আর এ ধাক্কা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই দিতে হবে। এ দেশের জনগণ আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
যুবদল সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুব নেতা আব্দুল খালেক, রবিউল ইসলাম লাভলু, আ ক ম মোজাম্মেল হক, খন্দকার মাশিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মজনু, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।