খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর, ২০১৬: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা খাদিজা আক্তার নার্গিসকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার বাবা ও ভাই। এ সময় তাদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে স্কয়ার হাসপাতালের পরিবেশ। খাদিজার বাবা, ভাই ও স্বজনদের আহাজারিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কেউ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এ হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন খাদিজার বাবা। সেখান থেকে সরাসরি যান স্কয়ার হাসপাতালে মেয়ের শয্যাপাশে। তিনি দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছার পর মেয়ের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় মেয়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে খাদিজার বাবা বলেন, শুধু সন্তানদের মানুষ করার জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় প্রবাসে কাটিয়েছি। তিনি বলেন, সন্তান জন্ম দেয়া, তাকে লালন-পালন করা কত কষ্টের। এই সব কষ্টকে আরো বিষাদময় করে তোলে সন্ত্রাসীদের হামলা। আমার মেয়ের মতো কেউ যেন এমন ঘটনার শিকার আর না হয়। : এদিকে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া দ্রুতবিচার আদালতে বদরুলের নির্মমতার বিচার চান। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। : তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। আর কোনো বদরুলের হাতে যেন কোনো নারী নির্যাতিত না হয়। খাদিজার বাবা আরো জানান, এই ঘটনার পরেই আমি জানতে পারি বদরুল আমার বাড়িতে লজিং ছিল। তবে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় আমার ভাই আব্দুল কুদ্দুস। এখন তো দেখছি আমার বাড়িতে বিষাক্ত সাপ হয়ে ঢুকেছিল বদরুল। : অন্যদিকে খাদিজার বড় ভাই চীনে অধ্যয়নরত শাহীন আহমদও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর স্কয়ার হাসপাতালে চলে যান। খাদিজার ভাই শাহীন আহমদ বলেন, সবাই আমার বোনের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন ওকে সুস্থ করে দেন। দেশবাসীর কাছে আমার বোনের জন্য দোয়া চাইছি।