Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর, ২০১৬: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চন্ডিবর্দী গ্রামে অবাধে বালু উত্তোলনে দুটি বাড়ীর তিনটি ঘর ও ১০-১৫টি গাছ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে পরিবারের লোকজন এখন অন্যের বাড়িতে বসবাস করছে। শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তফা মনোয়ার বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে বিলীন হয়ে যাওয়া বাড়ির মালিক মোতালিব মিয়া ও লাল মিয়া বলেন আমরা নিরীহ গরীব মানুষ। আমরা কিছু বললে পুকুরের মালিক আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ফলে আমরা নিরবে অত্যাচার সহ্য করি। তারা জানান পকুরের মালিক রফিকুল ইসলাম সুরুজ তিনি প্রতিদিন এই পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করেন। পুকুর অনেক গভীর হওয়ায় আশ পাশের বাড়িঘর আস্তে আস্তে পুকুরে বিলীন হয়ে যায়। ইতিপূর্বে আরও ৬টি বাড়ী বিলীন হয়েছে। বালু উত্তোলনকারী সুরুজ মিয়া নাম মাত্র মূল্য দিয়ে বাড়িওয়ালাদের উচ্ছেদ করে একেরপর এক জায়গা দখল করছে। এসব কথা শুনে ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার তাদের আশ^স্ত করে ন্যায্য ক্ষতিপূরণসহ সুরুজ মিয়াকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, এখানকার বালু মোটা দানা হওয়ায় তা দালানসহ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। ফলে এই বালুর চাহিদা অনেক বেশী।

দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বালু বিক্রি করা হয়। ফসলী জমির মাত্র ৩-৪ ফুট খনন করলেই বালুর স্তর পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘ প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত এই এলাকায় ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে। এতে দুলালপুর ও মাছিমপুর ইউনিয়নের প্রায় পুরো এলাকা এখন বালু উত্তোলনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় কয়েকটি গ্রাম পকুরে ধসে যেতে পারে বলে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। আইনের কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে একশ্রেণীর বালু ব্যবসায়ী অবাধে বালু উত্তোলন করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চন্ডীবর্দী গ্রামের একজন বলেন, ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার দুই বছর পূর্বে বালু উত্তোলন প্রায় ৬ মাস বন্ধ রেখেছিলেন।

কিন্তু জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সরকারদলীয় নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় আবার বালু উত্তোলন চালু হয়।পুকুরের মালিক সুরুজ মিয়া প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে কোটিপতি হয়ে গেছেন। বালু দস্যু সুরুজ মিয়া জানান সবাইকে মেনেজ করেই আমি বালু উঠাচ্ছি। আমার বালু তোলা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।কোন সমস্যা নেই, লাল মিয়া আর মোতালিবকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিব।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমি শক্ত অবস্থানে ছিলাম এখনো আছি। আরো শক্ত অবস্থানে যাব। খুব শ্রীগ্রই আবার বালু উত্তোলন জিরো টলারেন্সে আনা হবে।