খন্দকার মোশাররফ বলেন, সিলেটের এমসি কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসের উপর যখন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল হামলা চালিয়েছে তখন কেউ এগিয়ে আসেনি। তার প্রতিক্রিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলা উচিৎ ছিল দেশের জনগনের নয় ছাত্র লীগের মূল্যবোধ নষ্ট হয়েছে।
দেশের জনগণের মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলা উচিৎ ছিল আমার সোনার ছেলেরা ‘ছাত্রলীগ’ কেন এত পৌশাষিক ও হিংস্র হয়েছে।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, টেন্ডার বাজি, লুটপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্যসহ সারা দেশে তারা অপকর্ম করে চলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গণতন্ত্রহীনতার কারণেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মাথাচারা দিয়ে উঠেছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, এর জন্য দায়ি বর্তমান ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যদি জনগণের ভোটে প্রতিষ্ঠিত সরকার থাকতো তাহলে এই সকল সন্ত্রাসীরা মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারতো না।
সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্চ কমিটি গঠনের নামে আরেকটি মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠনের পায়তারা চলছে। রকিব মার্কা মেরুদন্ডহীন কমিশনের কাহিনী দেশের মানুষ জানে। তাদের ফলাফল ও তারা দেখেছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমাত উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া প্রমুখ।