খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৮ অক্টোবর, ২০১৬: এশিয়ার বাজারে গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করেই বড় ধরনের দরপতন বা পাউন্ডের ‘ফ্ল্যাশ ক্র্যাশ’ হয়। লেনদেনের একপর্যায়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এক পাউন্ডের দর ১ দশমিক ১৮ ডলারে নেমে আসে। ব্রেক্সিট ভোটের পর এটিই ব্রিটিশ মুদ্রার সর্বোচ্চ দরপতন।
পরে এ পরিস্থিতি থেকে কিছুটা উন্নতি হয় পাউন্ডের। দিন শেষে এশিয়ার বাজারে পাউন্ডের দর কমে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। পরে লন্ডনের বাজারে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর কমে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এক পাউন্ড সমান ১ দশমিক ২৪ ডলারে লেনদেন হয়।
হঠাৎ করে ‘ফ্ল্যাশ ক্র্যাশ’ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকপ্রধান ফিলিপ হ্যামন্ড। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে পাউন্ডের যে দরপতন হচ্ছে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো বিষয়ে বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আমরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তী সময়ে বাজার আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, কোনো একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং সিস্টেমের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের ‘ফ্ল্যাশ ক্র্যাশ’ হয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলছে, গতকাল হঠাৎ করে পাউন্ডের যে দরপতন হয়েছে, তা কোনো প্রযুক্তিগত কারণেও হতে পারে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ায় মুদ্রাবাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
বিশ্ববাজারে ডলারের বিপরীতে ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে পাউন্ড। সপ্তাহ শেষে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে।